একজনও পাস করবে না এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে না

ডিসেম্বর ৩০, ২০২১

একজনও পাস করবে না এমন প্রতিষ্ঠান থাকবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সকালে রাজধানীর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এছাড়া দুই মন্ত্রণালয়ের তিন সচিব, শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শূন্য পাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনেক জায়গায় অর্থনৈতিক নানা কারণ থাকে, হয়তো প্রতিষ্ঠানের অবস্থা একেবারেই ভালো নয় বা অন্য কিছু। যে কারণই থাকুক আমরা কারণগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো দূর করবার চেষ্টা করবো। ‘

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক দিন থেকে এ বিষয়টায় নজর দিচ্ছি যে এমন কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন থাকবে যে যেখানে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারবে না। আমাদের জন্য এক অর্থে খুবই স্বস্তিকর যে ১০৪ থেকে এই সংখ্যাটি ১৮ তে নেমে এসেছে। কিন্তু ১৮টিই বা কেন থাকবে? কাজেই আমরা চাই যে এরকম কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে না যেখানে একজনও পাস করবে না। কারণগুলো এবারও খুঁজে দেখে সমাধানের চেষ্টা করবো।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার পরও ৬ শতাংশের মতো অকৃতকার্য হয়েছে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যদি সকলেই কৃতকার্য করার মতো অবস্থায় নিয়ে যেতে পারি সেটি আদর্শ হবে, তাই না? কিন্তু অনেকেরই অনেক রকমের প্রতিবন্ধকতা থাকে, অনেক সমস্যা থাকে। কেউ পরীক্ষার সময় অসুস্থ হয়ে যায়, ভয় পেয়ে যায়, আমরা নিজেরাও জীবনের অনেক দূর পার করে এসেছি, আমরা জানি পরীক্ষা সব সময় একর রকম হয় না। এমনকি ভালো পড়াশোনা করেছে, ভালো প্রস্তুতি ছিল এরপরও অনেক সময় পরীক্ষা ভালো হয় না। ’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভালো হয়েছে আমরা খুব খুশি। কিন্তু এই ভালো করা মানেই আমাদের এবছর শিক্ষার মান অনেক ভালো হয়েছে গেছে। এতো সরলীকরণ করাটা বোধ হয় ঠিক হবে না। আমাদের শিক্ষার মান নিশ্চয়ই অব্যাহতভাবে বাড়ছে, তবে এটা আমাদের আরও অনেক বাড়াতে হবে। আমাদের যেতে হবে আরও অনেক দূরে।

পাসের হার নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে সেটা ভালো। এই সময়টায় অনেক চাপের মধ্য দিয়ে আমাদের পরীক্ষার্থীরা গেছে। পারিবারিক থেকে শুরু করে নানান ধরনের সমস্যা ছিল, কোভিডের কারণে বাড়তি অনেক চাপ ছিল। অনেক ট্রমার মধ্য দিয়েও গেছে যে পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়- পরিজন বা পরিবারের কাউকে হারিয়েয়েছে তারা। সেগুলোকেও বিবেচনায় নেওয়ার দরকার আছে।’

সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল কীভাবে হলো জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে। আর আবশ্যিক বিষয়- বাংলা, ইংরেজি এগুলো সরাসরি জেএসসি-জেডিসিতে যে নম্বরগুলো পেয়েছিল সেই হিসেবে দেওয়া হয়েছে।