আ.লীগ থেকে বহিষ্কার শিক্ষা কর্মকর্তাকে থাপ্পড় দেওয়া সেই মেয়র

ডিসেম্বর ২০, ২০২১

উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, যা সংগঠনের জন্য বিব্রতকর। দলের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ও অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলো।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, দেওয়ানগঞ্জ সরকারি হাইস্কুল মাঠে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহকে লাঞ্ছিত করেন পৌর মেয়র।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর দেওয়ানগঞ্জ সরকারি হাইস্কুল মাঠে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানে উপস্থাপকের দায়িত্ব পান ওই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহ। ভোর থেকে ওই মাঠের শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছিলেন। এ সময় দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. শাহনেওয়াজ শাহানশাহ ফুল নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন। উপস্থাপক শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মাইকে প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের নাম ঘোষণা করছিলেন। পৌরসভার নাম ৫ নম্বরে ঘোষণা করায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং থাপ্পড় মারেন মেয়র। সবার সামনে এই ঘটনা ঘটলেও প্রতিবাদ করেননি কেউ। ওই দিন রাত ৯টায় ভুক্তভোগী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেন।

এ ঘটনায় মেয়র মো. শাহনেওয়াজ শাহানশাহর অপসারণ ও গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীর অংশগ্রহণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় করা মামলায় পৌর মেয়রকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও আপসারণ করতে হবে। তা না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমসহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কার্যক্রম থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।