অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা ছাড়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব সম্ভব না

ডিসেম্বর ১১, ২০২১

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেছেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়াটাই আজ আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য সরকার, শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দূরত্ব কমাতে হবে। অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক ছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব হবে না।
প্রতিমন্ত্রী আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন বিওন্ড’ উপলক্ষ্যে মুজিব হান্ড্রেড ২০২১ এক্সিবিশন ও সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জের উপযোগী জনশক্তি তৈরি করতে একইসঙ্গে গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য টপআপ ট্রেনিং, ফাস্ট ট্রাক ফিউচার লিডারস ইনকিউবেশন এন্ড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে কুয়েট ও চুয়েটে একটি ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে আরো ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বলেন, এসব ছাড়াও শ্রম থেকে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তরের অংশ হিসেবে দেশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট কাজে লাগাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পর আগামী বছর থেকেই প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরকে কম্পিউটারের ভাষা শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য জাতীয় পাঠ্যক্রমে সংযুক্ত করা হচ্ছে কোডিং, প্রোগ্রামিং এবং প্রবলেম সলভিং দক্ষতা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে চট্টগ্রাম হাইটেক পার্ক, খুলনা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (কুয়েট) ইনকিউবেশন সেন্টার এবং চিটাগাং ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (চুয়েট) ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা করোনা এবং ফোরআইআর যুগে কতটা র্যা্পিড ও ম্যাসিভ পরিবর্তন হতে চলেছে তার অভিজ্ঞতা পেতে শুরু করেছি। আমাদের কাজের ও ব্যবসার ধরন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের পদ্ধতি- সবই বদলে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের বিনোদনের ধারাও পরিবর্তিত হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। সোশ্যাল মিডিয়া ও এন্টারটেইনমেন্ট প্লাটফর্মগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এনালিটিক্যাল ও এআই প্লাটফর্ম আমাদের বন্ধু। আর এ কারণেই এই প্রযুক্তিগুলো প্রশিক্ষণ ও রপ্তকরণের মাধ্যমে এই র্যা পিড ও ম্যাসিভ পরিবর্তনকে নিজেদের বাগে আনতে হবে।
এসময় ওয়ালটন হাইটেকের সঙ্গে ড্যাফোডিল ফ্যামিলি, এইচআর ফেডারেশনের সঙ্গে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ), ই-ক্যাবের সঙ্গে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডসহ মোট ৩০টি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
দুই দিনের এই সম্মেলনে ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়, আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়, ইনডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও কুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্ভাবিত চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী রোবট, ড্রোন, ট্রাক্টরসহ নানা হাইটেক সমাধান উপস্থাপন করে।