রাবির হলে আলু-পেঁপে খেয়ে অতিষ্ঠ ছাত্রীরা!

নভেম্বর ২০, ২০২১

রোকেয়া হলের খাবারের মান বৃদ্ধি, সান্ধ্য আইন বাতিলসহ ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২০ নভেম্বর) হলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবি—সান্ধ্য আইন বাতিল, ডাইনিংয়ের খাবারের মান বৃদ্ধি, ক্যান্টিনের অব্যবস্থাপনার সমাধান, অতিথি এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের হলে আসার অনুমতি ও অন্য হলের মেয়েদের বাধা না দেওয়া, ওয়াইফাই সমস্যার সমাধানের দাবি জানানো হয়। এছাড়া হলের চারপাশ মাঠ এবং ওয়াশরুম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মশা-মাছি নিধনের ব্যবস্থা, হলের কর্মচারীদের অসদাচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, মাস্টার্স পরীক্ষা শেষে অন্তত দুই মাস হলে থাকার অনুমতি, রিডিং রুমের সার্বিক সমস্যার সমাধান ও গণরুমের শিক্ষার্থীদের জন্য রান্নাঘরের ব্যবস্থার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাস খোলার পর থেকে ডাইনিং ও ক্যান্টিনে খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছে। অথচ খাবারের মান দিন কমে যাচ্ছে। প্রতিদিন আলু আর পেঁপে খেতে খেতে অতিষ্ঠ হলের ছাত্রীরা। হল প্রশাসনকে বারবার বলা হলেও তারা কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। হলের ইন্টারনেটের গতি দুর্বল। প্রতিমাসে ইন্টারনেটের বিল দিয়েও সেবা পাচ্ছেন না তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোনও অতিথি আসলে তাদের হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। সন্ধ্যা সাতটার পরে কেউ হলে ঢুকতে গেলে কর্মচারীরা খারাপ ব্যবহার করেন। হলের ওয়াশরুম ও চারপাশ অপরিস্কার থাকায় মশা-মাছি বাড়ছে। দ্রুত এসব দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের সময়  ‘ইন্টারনেট বিল দেই সেবা কই’, ‘সান্ধ্য আইন মানি না’, ‘খালাদের মাতব্বরি মানব না মানব না’, ‘সমস্যা হলেই গণরুম ছাড়ার হুমকি কেন?’, ‘মা-বোনদের হলে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে, দিতে হবে’, ‘ক্যান্টিন ব্যবসা বন্ধ করো করতে হবে’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন।

আন্দোলনের একপর্যায়ে ছাত্র উপদেষ্টা ড. তারেক নূর ও প্রক্টর মো. লিয়াকত আলী পৌছেন এবং ক্ষার্থীদের সমস্যা শুনে সমাধানের জন্য কয়েকদিন চান।

এতে শিক্ষার্থীরা অসম্মতি জানিয়ে বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। পরে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।