ধর্ষিতার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার বিধান বাতিল চেয়ে রিট

নভেম্বর ১৪, ২০২১

ধর্ষণের শিকার নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় সাক্ষ্য আইনের এমন দুটি ধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

রোববার (১৪ নভেম্বর) রিট আবেদনটি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং নারীপক্ষের পক্ষে থেকে সাক্ষ্য আইনের ধারা ১৫৫(৪) ও ১৪৬(৩) বাতিল চেয়ে রিটটি করা হয়েছে।

ব্রিটিশ আমলে প্রণীত সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যখন বলাৎকার বা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে, অভিযোগকারিণী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্র নারী (When a man is prosecuted for rape or an attempt to ravish, it may be shown that the prosecutrix was of generally immoral character)।

১৪৬ ধারার ৩ উপধারায় বলা হয়, যখন একটি সাক্ষী ক্রস-পরীক্ষা করা হয়, তিনি প্রশ্ন করার পূর্বে এখানে প্রশ্ন করতে পারেন, যেকোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে তার চরিত্র আহত করার মাধ্যমে তার কৃতিত্বকে হ্রাস করার জন্য, যদিও এই ধরনের প্রশ্নগুলির উত্তর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাকে দোষারোপ করতে পারে অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রকাশ করতে পারে বা তাকে জরিমানা অথবা জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারে।

সাক্ষ্য আইনের এসব ধারা বাতিলে বিভিন্ন সময় দাবি ওঠে। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষ্য আইনের ধারা বাতিলের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।