ভিন্ন ধর্মের গ্রন্থ এনে অবমাননা, বিশ্বাস করেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অক্টোবর ১৮, ২০২১

কুমিল্লার ঘটনা উদ্দেশ্যমুলক উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সম্পত্তি বিনষ্ট করা এবং সরকারকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ফেলতে কুমিল্লার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।  তিনি বলেন, অন্য সম্প্রদায়ের ধর্মগ্রন্থ এনে ধর্মীয় অবমানা করবে এমন মানসিকা বাংলাদেশের মানুষের নেই।   

সোমবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনুমান করছি, আমাদের অনুমান সত্যি হবে। কিন্তু আমরা নিশ্চিত হয়ে আপনাদের বলবো। ‘

ঘটনা গোয়েন্দা সংস্থা কি আচ করতে পারেনি এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রংপুর ঘটনা নিয়ে বলতে চাই—এ ঘটনাটি উদ্দেশ্য মুলক কিনা, করা ঘটিয়েছে সেটা বের করতে আর একটু সময় দিতে হবে। আমাদের লোক সেখানে কাজ করছে। র‌্যাব, কাউন্টার টেররিজমসহ সকলেই কাজ করছে। ফেসবুকের লিংকগুলো আমরা খুঁজে খুঁজে বের করার চেস্টা করছি। ’

ঘটনা সম্পর্কে শিগগিরই জানা যাবে ইল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খুব শিগগিরই সেগুলো যেনে যাবো। রামু, ভোলা ও নাসিরনগড়ে এধরনের ঘটনা দেখেছি। এগুলো হয়েছে সোসাল মিডিয়ার অপপ্রচারের মাধ্যমে, উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। তাদের মুল উদ্দেশ্য হলো আমাদের এই চেতনা থেকে সরিয়ে দেওয়া ও দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করা। এগুলোর পিছনে কয়েকজন ব্যক্তি এধরনের ঘটনা ঘটিয়ে একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এ সমস্ত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ’

কুমিল্লার বিষয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমসন্ত্রী বলেন, ‘এবিষয়ে আমরা খুব শিগগিরই জানাবো। আমরা এটার খুব কাছাকাছি আছি। কুমিল্লার ঘটনাটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশৃঙ্খলা, অরাজক পরিস্থিতি ও আমাদের সম্প্রতির মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি করার জন্য এটা একটা কৌশল ছিলো। কিন্তু অনেকেই এখানে না বুঝে অনেক কিছু করে ফেলেছেন ‘

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুলিশ বাধ্য হয়ে ফায়ার ওপেন করেছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে চারটি নিরীহ প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। নোয়াখালীতে নামাজ হয়ে গিয়েছিল, মুসুল্লিরা চলেও গিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা খাবার খাচ্ছিল, এমন সময় কয়েকটি জায়গা থেকে টিনএজ বয়সের কিছু ছিল লোক এসে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নোয়াখালী, কুমিল্লায়, হাজীগঞ্জে যা ঘটেছে তা এক সূত্র হিসেবে ধরে নিয়েছি। এগুলোর পেছনে মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি রয়েছে। এরই মধ্যে সন্দেহজনক লোকদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করেছি, কনফার্ম হয়ে সবাইকে জানাবো। এর জন্য কিছু সময় লাগবে। ’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনা সুনিশ্চিতভাবে  ও সাজানো  উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আবারও বলছি—কোনও সম্প্রদায়ের লোক অন্য সম্প্রদায়ের একটা ধর্মগ্রন্থ এনে অপমান করবে, এ ধরনের মনমানসিকতা বাংলাদেশের মানুষের নেই। কেন হচ্ছে, কেন করাচ্ছে সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন জাগছে, সেটাই আপনাদের সামনে খোলাসা করে জানাতে পারবো। এজন্য আমাদের আরো একটু সময়ের প্রয়োজন৷ তবে এটা উদ্দেশ্যমুলকভাবে সম্পত্তি বিনষ্টের জন্য, সরকারকে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য এঘটনাগুলো ঘটিয়েছে বলে আমরা অনুমান করছি। আমাদের অনুমান সত্যি হবে। কিন্তু আমরা নিশ্চিত হয়ে আপনাদের বলবো।