হাসান আজিজুল হকের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আগস্ট ২১, ২০২১

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরের জন্যও বলেছেন। এরপর শনিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।

রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হকের চিকিৎসার খোঁজ নিয়েছেন। তিনিই তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরের জন্য বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রখ্যাত এই কথাশিল্পীর সুচিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন।

সে অনুযায়ী সন্ধ্যায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বাদশা বলেন, ঢাকায় নেওয়ার পর কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হকের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর হজরত শাহমখদুম (র.) বিমানবন্দর থেকে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। এরপর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল।

হাসান আজিজুল হকের বয়স এখন ৮২। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটানা ৩১ বছর শিক্ষকতার পর ২০০৪ সালে তিনি অবসর নেন। এরপর বিহাসে নিজের ‘উজান’ নামের বাসায় থাকেন। গত ১৬ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ছেলে ইমতিয়াজ হাসান জানান, গত এক মাস ধরেই তার বাবা ‘ভীষণ’ অসুস্থ। এরপর তার অসুস্থতার খবর জানাজানি হয়।

হাসান আজিজুল হকের মাইনর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তার হার্টে আগে থেকেই একটি রিং পরানো আছে। এখন তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। হাঁপিয়ে উঠছেন। এ ছাড়া শরীরে তার লবণের ঘাটতি আছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে পরিবারের সদস্য তাকে হাসপাতালে নেননি।

বিষয়টি জানতে পেরে ১৯ আগস্ট ফেসবুকে স্টাট্যাস দিয়ে তার চিকিৎসার ব্যাপারে সবার সহযোগিতা চান সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। এরপর শুক্রবার তিনি শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে অনলাইনে একটি সভাও করেন। পরে রাতে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তাকে দেখতে যান। সকালে হেলিকপ্টারে হাসান আজিজুল হককে ঢাকায় নেওয়া হয়।