বাংলাদেশ গেমসের জামজমক উদ্বোধন
এপ্রিল ২১, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মাঠে গড়ালো ৮ম বাংলাদেশ গেমস। প্রতিযোগিতাকে আকষর্ণীয় করতে মনোমুগ্ধকর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে টুর্নামেন্ট কমিটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য বিকেল চারটায় খুলে দেয়া হয় স্টেডিয়ামের ফটক। দর্শকরা গাঁটের পয়সা খরচা করে অনুষ্ঠানে আসেননি। আয়োজকরা বিনা টাকায় দর্শকদের জন্য মাঠে বসে অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। বৈশাখের তপ্ত রোদ্দুর উপেক্ষা করে মাঠে এসেছেন শিশু খেকে শুরু করে সব বয়সের দর্শকরা। তাদের স্বত:স্ফুর্ত উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম।
মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে গান পরিবেশন করে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন ডিজে রাহাত ও জেনিফার। প্রায় দেড় ঘন্টা মঞ্চ মাতান তারা। এরপরই শুরু হয় ব্যান্ড ডিসপ্লে।এতে তিন বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের ব্যান্ড ডিসপ্লেতে অংশ নেন চার শতাধিক শিল্পী।
ব্যান্ড ডিসপ্লের সুরেলা মূর্ছনার পর প্রায় ১৫ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্রে দেশের স্বাধীনতা, মুক্তি সংগ্রাম ও ক্রীড়ার বিভিন্ন সাফল্যের মুহূর্ত ফুটিয়ে তোলা হয়। এতে ক্রিকেট থেকে শুরু কর খেলাধুলার বিভিন্ন বিভাগে বাংলাদেশের অর্জন দৃশ্য উঠে আসে। একই সঙ্গে প্রামাণ্যচিত্রে বাংলাদেশের সংস্কৃতিও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণের পরপর প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন ঘোষণ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা ও স্বাক্ষর লেজার রশ্মিতে শূন্যে ভেসে উঠে স্টেডিয়ামের ক্যাম্পাসে।উদ্বোধন ঘোষণার পর কযেক মিনিট লেজার রশ্মির মাধ্যমে আরও স্ক্রিনে দেখা হয়। প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটি ইভেন্টের খেলার লোগো ও দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো।
লেজার রশ্মির প্রদর্শণ শেষ হলে অন্ধকার হয়ে যায় পুরো স্টেডিয়াম। আর কিছুক্ষণ পর আতজবাজির আলোর ছটায় আবারও রঙিন হয়ে উঠে উদ্বোধনী মঞ্চ। আলোর খেলা দেখে বসে থাকতে পারেনি গেমসের মাসকট ‘কাঠবিড়ালী’।
কয়েকশত শিশুদের সঙ্গে সারা স্টেডিয়াম ঘুরে বেড়ায় দুরন্ত এই মাসকটটি।
কাঠবিড়ালীর মাঠ ছাড়ার পরপরই মশাল প্রজ্জ্বলন করেন জুম্মন লুইস। এরপর গেমসের থিম সং আর জাঁকালো আতোশবাজির মধ্যদিয়ে শেষ হয় ৮ম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।