আমেরিকান যুদ্ধজাহাজ সিঙ্গাপুরে !

এপ্রিল ১৯, ২০১৩

us-navy-orders-trimaran-littoral-combat-01ঢাকা জার্নাল: দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর অংশ হিসেবে সিঙ্গাপুরে একটি উপকূলীয় যুদ্ধ জাহাজ (লিটোরাল কমব্যাট শিপ-এলসিএস) পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে জাহাজটি সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছে।

প্রশান্ত মহাসাগরের ৪৮০ লাখ বর্গমাইল জুড়ে বিস্তৃত সপ্তম নৌবহরের যোগ দিচ্ছে জাহাজটি। জাহাজটি সিঙ্গাপুরের পূর্বে শাংগি নৌ ঘাঁটিতে মোতায়েন করা হয়েছে।

দেখতে বিশালকার মনে হলেও এটি মার্কিন নৌবাহিনীর সবচেয়ে ছোট যুদ্ধ-জাহাজগুলোর একটি। অগভীর জলে সমুদ্রতটের কাছাকাছি কাজ সম্পাদন করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে এটি।

ইউএসএস ফ্রিডম নামে মার্কিন নৌবাহিনীর ওই জাহাজটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ১০ মাস থাকবে।

২০২০ সাল নাগাদ মার্কিন নৌবাহিনীর ৬০ শক্তি এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে।এ সময়ের মধ্যে ইরাক ও আফগানিস্থান ত্যাগ করবে মার্কিন সেনারা। যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপে বেশ উদ্বিগ্ন চীন।

সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক, নিকোলাস ফাং বলেন “এশিয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া বা এশিয়ার কারণে মার্কিন নীতিতে পুনঃভারসাম্য আনা বহুল আলোচিত বিষয়।”

তিনি আরও বলেন, “স্থিতিশীল উন্মুক্ত সমুদ্র পথ নিশ্চিত করতে চাই যুক্তরাষ্ট্র যা বৈশ্বিক বাণিজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে এর মাধ্যমে এটাও দেখায় যে এটা ঐ অঞ্চলের  স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর”।

উত্তর কোরিয়া হুমকি নতুন কিছু নয় কিন্তু আমরা মালয়েশিয়ার সাবায় ছোট ছোট উত্তেজনা গুলো সীমানা ছাড়িয়ে ফিলিপাইনে ছড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেন ফাং।

অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সামকির উপস্থিতিকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সহায়ক হিসেবে দেখবে বলে মনে করেন ফাং।

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর হিসাব মতে, বিশ্বের ৩৫টি দেশের সমুদ্রসীমানায় রয়েছে সপ্তম নৌবহরের কর্মতৎপরতা। এসব দেশের মধ্যে বর্তমানে সংকটে থাকা কোরীয় উপদ্বীপ যেমন চীন, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে। সপ্তম নৌবহরের মূল ঘাঁটি জাপানের ইকোসুকায়।

চীন বরাবরই এশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতির বিরোধিতা করে আসছে। মঙ্গলবার এক শ্বেতপত্রে চীন অভিযোগ করে, যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক জোটকে শক্তিশালী করে এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে।

ফাং বলেন, “চীনের উপলব্ধি পরিস্কার এবং এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত হওয়ার বিষয়টি তাদের স্বার্থে-বাইরে এ হিসেবে দেখছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.