অতিরিক্ত খ্যাতি দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে !
এপ্রিল ১৯, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল ডেস্ক: কথাটি বিশ্বাস করা বেশ কঠিন৷ তবে অস্ট্রেলিয়ার দুই গবেষক এক হাজার শোক সংবাদ নিয়ে গবেষণা করে তা-ই দেখেছেন৷ দেখেছেন খেলাধুলা আর অন্য কিছু পারফরম্যান্স সংশ্লিষ্ট কাজে খ্যাতিমান হলে তুলনামূলকভাবে আগে মৃত্যু হয়!
রিচার্ড এপস্টাইন এবং ক্যাথরিন এপস্টাইন খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েছেন নিউইয়র্ক টাইমসে ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে প্রকাশিত এক হাজারটি শোক সংবাদ৷ মৃত ব্যক্তিদের প্রথমেই ভাগ করে নিয়েছিলেন দু ভাগে৷
এক দিকে খেলাধুলা, চলচ্চিত্র, সংগীত এবং মঞ্চে যাঁরা পারফর্ম করতেন তাঁদের৷ অন্য দিকে বাকিরা৷ দেখা গেছে প্রথম দলে যাঁরা তাঁদের গড় আয়ু ৭৭ দশমিক ২ বছর৷
আর অন্য দলের সৃষ্টিশীল কর্মীদের ৭৮ দশমিক ৫, সাধারণ পেশাজীবী আর শিক্ষাবিদদের ৮১ দশমিক ৭ এবং ব্যবসায়ী, সামরিক কর্মকর্তা আর রাজনীতিবিদদের গড় আয়ু ৮৩ বছর৷ তার মানে, অন্যদের তুলনায় ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক-গায়িকা, নৃত্যশিল্পীরা একটু আগেই পৃথিবীকে বিদায় জানান৷
কেন এমন হয়? অনেকেই বলছেন খ্যাতি অর্জন করার জন্য যেমন খুব পরিশ্রম করতে হয়, খ্যাতি এলে তা ধরে রাখার জন্যও মানুষ ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় অনেকভাবে ভোগে৷ কেউ কেউ ভোগেন অন্য কেউ তাঁর জায়গাটা নিয়ে নিতে পারেন এমন এক আতঙ্কে, যা তাঁদের মানসিক শান্তি কেড়ে নেয়৷ আবার খ্যাতির আকাশ থেকে নেমে এলেও বাড়ে হতাশা৷ দুটোতেই বিপদ৷ কেউ কেউ তখন অতিরিক্ত ধূমপান করেন, মদে মশগুল থাকেন কেউ কেউ, কেউ বা ডুবে যান নিষিদ্ধ যাবতীয় নেশাদ্রব্যে৷ প্রতিদানে পান সংক্ষিপ্ত জীবন৷
অবশ্য ৭৭ বছরও যে খুব কম বয়স তা তো নয়৷ উন্নত দেশে চিকিৎসা, সামাজিক সেবা, প্রাকৃতিক পরিবেশ- বলতে গেলে সবই প্রায় অনুকূল বলে মানুষের গড় আয়ু বেশি৷ দেশ যত গরিব, সরকার যত জনস্বার্থবিমুখ, দেশের মানুষ যত অসচেতন, গড় আয়ু সেখানে তত কম!
এসিবি/এসবি (রয়টার্স)