ভারতের ভ্যাকসিন আমদানির অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন

জানুয়ারি ৬, ২০২১

সিরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃক ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনোকার করোনা ভ্যাকসিন আমদানির অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। সোমবার (৪ জানুয়ারি) ভ্যাকসিন আমদানিতে বেক্সিমকোকে এনওসি দেয় অধিদফতর।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছি। তারা চাইলে এখন ভ্যাকসিন আনতে পারবে।

জানা গেছে, আজ সন্ধ্যায় টিকা আমদানির অনুমোদন দেয় অধিদফতর। এর আগে দুপুরে এনওসি চেয়ে আবেদন করে বেক্সিমকো।

এদিকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান আজ বিকেলে তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন, গত বৃহস্পতিবার তারা এ সর্ম্পকিত কাগজ জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার তারা আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছেন। আর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন ও রেজিস্ট্রেশন দেবার এক মাসের মধ্যে ভারত থেকে টিকা দেশে আনা হবে।

নাজমুল হাসান জানান, ইতোমধ্যে করোনার টিকা পরিবহনের জন্য সাতটি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। এছাড়া বিশেষায়িত কুল বক্স আনা হবে। ঢাকায় একটি গুদাম তৈরি করা হয়েছে।
নাজমুল হাসান আরও বলেন, লজিক্যালি আমরা যে ব্যবসা করে আসছি সেভাবে বলছি। এটা বাণিজ্যিক চুক্তি। আমরা শুধু সরকারকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। এতদিনে এটা বুঝে যাওয়া উচিত বেক্সিকমকো যদি বুকিং না দিত তাহলে কী হতো। কোনও কোম্পানি বা সরকার কোথায় বুকিং দিয়েছে? কোওন ভ্যাকসিন এনেছে বা আনতে পারবে? আর যে দাম বলছি এর ডাবল দামে যদি কেউ দিতে পারে, আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম প্রশ্নই ওঠে না।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে একটি সরকারের ব্যয় হবে এক হাজার ৫৮৯ কোটি তেতাল্লিশ লাখ টাকা। অর্থাৎ ভ্যাকসিন কেনা থেকে শুরু করে মানুষের শরীরে দেওয়া পর্যন্ত এই টাকা প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় অর্ধেক পরিমাণ প্রায় ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছাড় করেছে। চুক্তি হয়। সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে তিন কোটি ভ্যাকসিন পাবে। এজন্য