তিন মাসে ২৯০ কোটি মিনিট আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল চুরি

এপ্রিল ১৮, ২০১৩
1351056803.ঢাকা জার্নাল: ২০১২ সালে তিন মাসে আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল প্রায় ২’শ কোটি মিনিট কম হওয়ার কারণ খুঁজতে বলেছে ডাক, তার ও টেলিযোগোগ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত্র সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। একই সঙ্গে দায়িদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ৪৪তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুছ ছাত্তার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন, মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, মোঃ আব্দুল ওদুদ, নজরুল ইসলাম বাবু এবং খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে ২০১২ সালের জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর এই তিন মাসের ইনকামিং কল ৫’শ কোটি থেকে কমে ৩’শ কোটি মিনিটে নেমে আসার কারণ সনাক্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছে কমিটি।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল কম হওয়ার কারণ খুঁজতে সুপারিশ করেছে। এছাড়া রাজস্ব আদায়ের সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২৯০ কোটি মিনিট কল চুরি হওয়ার কারণে তিন মাসে ২’শ কোটি মিনিট কল কম হয়েছে। ভিওআইপি বন্ধ করতে ২০১১ সালে আইন হওয়ার পর নভেম্বর থেকে কল মিনিট ৫’শ কোটির ওপরে যায়। কিন্তু কল মিনিট চুরি করার কারণে আবার নেমে ৩”শ কোটিতে চলে আসে।
বৈঠকে সকল প্রকার অবৈধ টার্মিনেশন প্রতিরোধ করতে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে বিটিআরসিকে সুপারিশ করা হয়েছে।
টলিযোগাযোগ সেক্টরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ  নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। টেলিযোগাযোগ সেক্টরের সকল বকেয়া আদায়সহ এ সেক্টর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় আরও বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে কমিটি।
এছাড়া বৈঠকে বিটিসিএলের কাজের গতি ত্বরান্বিত করতে প্রতিষ্ঠানটির সকল শূণ্য পদ পুরণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বিটিসিএল জানায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইনে ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সনাক্ত করতে একটি উচ্চ সম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সার্বক্ষণিকভাবে ভিওআইপি বিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ টেলিযোগাযোগ স্থাপনা পর্যবেক্ষণ করছে।
২০০৯ থেকে ৬২টির বেশি মামলা করা হয়েছে এবং অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিওআইপি উন্মুক্ত করার মাধ্যমে বৈধপথে সহজে ও কম খরচে বিদেশ থেকে কল গ্রহণ ও কল করার সুযোগ দিতে ৮৪৪ টি প্রতিষ্ঠানকে ভিওআইপি সার্ভিস প্রভাইডার (ভিওআইপি) লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ৪০০ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার (আইএসপি) লাইসেন্স রয়েছে। যারা দেশে দুটি ইন্টারনেট গেটওয়ে বিটিসিএল ও ম্যাংগো টেলিসার্ভিসেস লিমিটেড থেকে প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ বরাদ্দ নিয়ে থাকে।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোসসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ১৮, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.