ফোন নাম্বার ভেরিফিকেশন সুবিধা যুক্ত হলো ইমো-তে

ডিসেম্বর ২১, ২০২০

এখন প্রযুক্তি নির্ভর অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের হুমকির সঙ্গে সবাই প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছে। কিন্তু নতুন ফোন নাম্বার ভেরিফিকেশন সিস্টেমের কারণে ইমো ব্যবহারকারীরা এখন পাচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা।

এর মাধ্যমে তথ্য হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়ার সম্ভাবনা আর থাকছে না।
বাংলাদেশি মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে স্বস্তি এনে দেবে এই নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নতুন ফোন বা সিম পরিবর্তনের ফলে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তায় ইমো’র নতুন ভেরিফিকেশন সিস্টেম বিশ্বে নতুন সংযোজন।

যখন একটি ফোন নাম্বার এক বা দুই বছরের জন্য বন্ধ থাকে তখন টেলিকম অপারেটরেরা সেটি বন্ধ করে নতুন গ্রাহকের কাছে নম্বরটি হস্তান্তর করে। ফলে, কোনো নতুন নাম্বার ব্যবহারকারী ইমো’তে একাউন্ট খোলার সময় পুরনো একাউন্টের সাথে সংযুক্ত হয়ে যেতেন। একাউন্টটি পূর্বে একজন ব্যবহার করার ফলে নতুন ইউজার সেই একাউন্টের সব ধরনের তথ্যে সহজেই একসেস পেয়ে যেতেন। প্রায় সব ধরনের ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপেই এ ধরনের সমস্যা দেখা গেছে, ফলে এসব অ্যাপ ব্যবহারকারীরা নানা ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতেন।

এ ধরনের সমস্যা দূর করতে ইমো নিয়ে এসেছে নাম্বার ভেরিফিকেশন সিস্টেম, যাতে গ্রাহকের তথ্যের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা যায়। যদি কোনো ইমো একাউন্ট নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ইন্যাক্টিভ থাকে তাহলে যে নাম্বার দিয়ে ঐ একাউন্ট খোলা হয়েছে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনিবন্ধিত হয়ে যাবে। তাই, টেলিকম কোম্পানি নতুন কোনো গ্রাহককে পরিত্যাক্ত নম্বরটি দিলেও তথ্য পাচারের ঝুঁকি আর থাকছে না।

যদি মোবাইলের সঙ্গে সংযুক্ত ইমো একাউন্ট ফোন নম্বরের সঙ্গে মিল না থাকে তবে নতুন ফোন নম্বরে পুরাতন ইমো একাউন্ট চালু রাখার ব্যাপারে গ্রাহককে সুযোগ দেওয়া হবে।

ইমো ব্যবহারকারীদের একাউন্ট সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা রক্ষার জন্য একটি নতুন পদ্ধতি চালু করেছে। বিস্তৃত সুরক্ষা পদ্ধতির কারণে ইমো ইউজার যে নম্বরটির ব্যবহার করছে তার সঙ্গে ফোনে ব্যবহৃত একাউন্টটি সংযুক্ত রয়েছে কি না তা ইমো শনাক্ত করতে পারবে। অন্যথায়, ব্যবহারকারীর বর্তমান মোবাইল নম্বরটিতে পরিবর্তিত হওয়ার জন্য অ্যাপটিতে অনুরোধ জানানো হবে।

ইমো’র নতুন ভেরিফিকেশন সিস্টেমের কারণে সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীরা নিরাপদ ম্যাসেজিং অ্যাপ উপভোগ করতে যাচ্ছেন। তাই এখন বাংলাদেশি নেটিজেনরা একেবারে নতুন অভিজ্ঞতায় বিশ্বস্ত যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত থাকতে পারবেদ পুরো পৃথিবীর সঙ্গে।