বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িত মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ও ছাত্র

ডিসেম্বর ৬, ২০২০

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলনে খুলনা বিভাগীয় পুলিশ রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃত চারজন হলো কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি পশ্চিমপাড়া এলাকার ইবনি মাসউদ মাদ্রাসার শিক্ষক ও জেলার মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আল আমিন (২৭) ও পাবনার আমিনপুর উপজেলার দিয়াড় বামুন্দি এলাকার আজিজুল মণ্ডলের ছেলে মো. ইফসুফ আলী (২৬)। অন্য দুজন হলো একই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে অধ্যয়নরত ছাত্র ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমসের মৃধার ছেলে মো. আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) ও জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর (গোলাবাড়িয়া) এলাকার মো. সামছুল আলমের ছেলে মো. সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০)।

সংবাদ সম্মেলনে খুলনা বিভাগীয় পুলিশ রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, গতকাল শেষ রাত পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তাদেরকে চিহ্নিত করে আটক করা হয়। বর্তমানে তাদের চারজন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আমরা আশা করি এই চারজনের কাছে যথেষ্ট তথ্য আমরা পাবো। ইতোমধ্যে কিছু তথ্য আমাদের কাছে আছে।

প্রসঙ্গত, কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) রাতের কোনও এক সময় ভাস্কর্যের মুখ ও হাতের অংশ ভেঙে ফেলে তারা। ২০০৩ সালে শহরে সৌন্দর্য বর্ধনের অংশ হিসেবে এখানে জাতীয় ফুল শাপলার একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করে কুষ্টিয়া পৌরসভা। এরপর থেকে এটি শাপলা চত্বর হিসেবে পরিচিত। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সম্প্রতি শাপলার ভাস্কর্য ভেঙে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ শুরু করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।