‘ঘরে বসে স্বস্তির পেঁয়াজ’

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০

দেশে পেঁয়াজের কোনও সংকট হবে না। ক্রেতারা অস্থির না হয়ে শুধু প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ কিনলে কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি জানিয়েছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে বড় ধরনের আমদানি ও সাশ্রয়ী মূল্যে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। যারা ট্রাক সেল থেকে কিনতে পারছেন না, তাদের জন্য টিসিবি ই-কমার্সের সহযোগিতায় সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বাসায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। আজ থেকে শুরু হলো টিসিবি’র ‘ঘরে বসে স্বস্তির পেঁয়াজ’ কর্মসূচি।
রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ই-কমার্সের আয়োজনে জুম প্লাটফর্মে টিসিবি’র ‘ঘরে বসে স্বস্তির পেঁয়াজ’ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন, টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওবায়দুল আজম, হাফিজুর রহমান, ই-কমার্সের প্রেসিডেন্ট শমি কায়সার, চালডাল কর্মসূচির পরিচালক ইসরাত জাহান নাবিলা এবং নাদিয়া বিনতে আমীন উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য পণ্যের মতো এখন সাশ্রয়ী মূল্যের পেঁয়াজও ক্রেতারা ঘরে বসে কিনতে পারছেন। ই-কমার্সের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রির ধারনাটি নতুন, এ ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আসতে পারে। আমরা থেমে থাকবো না, সমস্যার সমাধান করে এগিয়ে যাবো। দেশের অভ্যন্তরে দেশি ও আমদানিকৃত পর্যাপ্ত পরিমাণের পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। ভারত ইতোমধ্যে ২৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। এগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু করেছে। আশা করা যায় আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেবে ভারত সরকার। মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতাদের ই-কমার্সে পেঁয়াজ পেতে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। প্রাথমিক ভাবে দেশের ৫টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৬ টাকা মূল্যে ৩ কেজি করে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। পরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও পেঁয়াজের পরিমাণ বাড়ানো হবে।