মুখোমুখি অবস্থানে যাচ্ছে সরকার ও হেফাজত

এপ্রিল ১৬, ২০১৩

0,,16710508_302,00ঢাকা জার্নাল: ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে সরকার এবং হেফাজতে ইসলাম মুখোমুখি অবস্থানে চলে যেতে পারে৷ মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে সরকার একরকম সহায়তা করলেও এবার তা নাও হতে পারে৷

সরকার মনে করে, হেফাজত এখন বিএনপি এবং জামায়াতের ঘুঁটি হিসেবে কাজ করছে৷

হেফাজতে ইসলাম তাদের ৫ই মে’র ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে৷ তারা বলছে, এর মধ্যে তাদের ১৩ দফা দাবি না মানা হলে ঢাকাসহ সারা দেশ অচল করে দেয়া হবে৷ আর এর জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর বলেছেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে হেফাজতকেই অচল করে দেয়া হবে৷

শুধু সরকারের নীতি নির্ধারক নয়, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বলেছেন হেফাজতের দাবি অনুযায়ী ব্লাসফেমী আইন করা সম্ভব নয়৷ জবাবে হেফাজত বার বার বলছে এই সরকার নাস্তিকদের সরকার৷ তাই সরকারকে তাদের ১৩ দফা দাবি মানতে বাধ্য করা হবে৷

জানা গেছে, এই পরিস্থিতিতে ঢাকায় বড় আকারের নারী সমাবেশের পরিকল্পনা হচ্ছে৷ আর তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত নারী শ্রমিকরাও বড় আকারের ‘শো ডাউন’ করতে পারেন হেফাজতের ১৩ দফা বিশেষ করে নারী প্রগতি বিরোধী দাবির বিরুদ্ধে৷ আর এসবই হবে ৫ই মে’র আগে৷

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন জানান, সরকার হেফাজতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তবে তাদের অযৌক্তিক কোনো দাবি মানা হবে না৷ তারা যদি তাদের অযৌক্তিক দাবি আদায়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তা কঠোর হাতেই দমন করা হবে৷

তিনি বলেন, “হেফাজতের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিকে মোকাবেলা করতে সরকার এবং ১৪ দলও প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ সারা দেশের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করা হচ্ছে, যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে৷”

তিনি বলেন, “হেফাজতে ইসলাম যে বিএনপি জামায়াতের ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা এখন স্পষ্ট৷ মতিঝিলের সমাবেশেই তাদের ব্যবহার করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল৷ তবে তা সরকার ব্যর্থ করে দিয়েছে৷ তারা ফটিকছড়িকে হরতালের সময় জামায়াত শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়৷ এতে তিনজন নিহত হয়৷”

এছাড়া, মসজিদের মাইক ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে এই হামলা চালান হয়৷ হেফাজত এবং জামায়াত এক্ষেত্রে এক সঙ্গে কাজ করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে৷ এর আগে বগুড়ায়ও ‘সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে’ বলে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে গুজর ছড়িয়ে তাণ্ডব চালান হয়৷ সরকার মাদ্রাসা মসজিদতে কোনোভাবেই কোনো দল বা গোষ্ঠির স্বার্থে ব্যবহার করতে দেবে না বলে জানান আফজাল হোসেন৷

আফজাল বলেন, হেফাজত সরকারকে দুর্বল মনে করলে ভুল করবে৷ সরকার চায় দেশে শান্তি বজায় রাখতে৷ কিন্তু হেফাজত ধর্মকে ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য সফল করতে মাঠে নামলে তা প্রতিরোধ করা হবে৷

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.