জনশক্তি রপ্তানি: প্রতারণা করলেই ৭ বছরের কারাদন্ড

এপ্রিল ১৫, ২০১৩

0,,15966164_401,00ঢাকা জার্নাল:  বিদেশগামী শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ সুরক্ষা এবং দেশীয় রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণা রোধে সুনির্দিষ্ট শাস্তির বিধান রেখে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

আইনে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণা বা এ ধরনের অপরাধ করলে সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের বিধান রাখা হয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মর্তুজা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমানে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী অধ্যাদেশটি রয়েছে সেটি ১৯৮২ সালের। এটাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যেই নতুন করে এ আইনটি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান অধ্যাদেশে ২৯টি ধারা রয়েছে। আর এখন যে আইনটির প্রস্তাব করা হয়েছে সেখানে মোট ৬১টি ধারা রয়েছে।’

প্রস্তাবিত আইনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে বিদেশগামী শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ সুরক্ষা, দেশীয় রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণা ও ভিসা ট্রেডিং রোধ, রিক্রুটিং লাইসেন্স প্রদান এবং বিদেশ ফেরত শ্রমিকের মামলা করার অধিকার ও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘মামলার নিষ্পত্তির জন্য অভিযোগের তারিখ থেকে চার মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি না হলে সুনির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করে আরও ২ মাস সময় বাড়ানো যাবে। এছাড়া দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনে ২০০৯ সালের মোবাইল কোর্টের অধীনে এ মামলা পরিচালনা করা যাবে। এছাড়া আদালতের বাইরে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’র সুযোগ রাখা হয়েছে এ আইনে।’

এ আইনে শাস্তির বিধান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনের ৩৭ থেকে ৪৭ ধারা পর্যন্ত অপরাধের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন শাস্তির বিধান রয়েছে। এর মধ্যে প্রতারণার অভিযোগে অনধিক ৫ বছর কারাদণ্ড এবং অনুর্ধ্ব ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া অনধিক ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করারও বিধান রয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।’

অতিরিক্ত সচিব জানান, ‘এছাড়া মন্ত্রিসভায় “বাংলা একাডেমি আইন ২০১৩”-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর এটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।’

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.