করোনা পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়ায় চিকিৎসকের কারাদণ্ড ও জরিমানা

জুলাই ১৯, ২০২০

টাকার বিনিময়ে বিদেশগামীদের করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়ায় সিলেটে এক চিকিৎসককে চার মাসের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নগরের মধুশহীদ এলাকায় মেডিনোভা মেডিক্যাল সার্ভিসেস লিমিটেডের নিচতলায় ডা. এএইচএম শাহ আলমের চেম্বারে এ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়ের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

সুনন্দা রায় বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে ডা. আলম অপরাধ স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সব ধরনের প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।’

সিলেট র‌্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম জানান, ডা. আলম বিদেশযাত্রীসহ কয়েকজনকে করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট টাকার বিনিময়ে দিয়েছেন বলে র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেন। পরে তাকে নিয়ে তার চেম্বার মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডে অভিযান চালানো হয়।

তিনি আরও জানান, গত ১৪ জুলাই ডা. আলম নিজে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরেও চেম্বারে রোগী দেখেছেন নিয়মিত। পাশাপাশি তিনি সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে ভুয়া পরিচয় দিতেন।

জানা গেছে, ডা. এ এইচএম শাহ আলম নগরীর মধুশহীদ এলাকায় মেডিনোভা মেডিক্যাল সার্ভিসেস লিমিটেডের নিচতলায় চেম্বার করেন। বিদেশযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন দেশ ও এয়ারলাইন্স করোনা নেগেটিভ সার্টিফেকেট বাধ্যতামূলক করার পর প্রবাসীদের টার্গেট করেন তিনি। বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি বিদেশযাত্রীদের কাছে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট ব্যবস্থা করে দেওয়ার খবর পৌঁছান। সার্টিফিকেট দিয়ে বিদেশযাত্রীদের কাছ থেকে তিনি চার হাজার টাকা করে আদায় করেন। ফ্লাইটের ৪৮ ঘণ্টা আগে তিনি বিদেশযাত্রীকে ডেকে নিয়ে প্রত্যয়নপত্র হাতে ধরিয়ে দেন। পরীক্ষা না করেই নিজের প্যাডে দেওয়া ওই প্রত্যয়পত্রে ডা. শাহ আলম লিখে দেন, তিনি ওই ব্যক্তিকে তার চেম্বারে দেখেছেন, তার মধ্যে কোভিড-১৯-এর কোনও লক্ষণ নেই।’