লড়াইটা পারুলের একার নয়

জুন ২৪, ২০২০

নির্যাতনকারী, যৌতুকলোভী ও ভ্রুণ নষ্ট করার অভিযোগ তুলে সাবেক স্বামী রেজাউল করিম প্লাবনকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে পারুল আক্তার। এছাড়া নিয়মিত তিনি হত্যার হুমকি পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘আমি সাংবাদিক হয়ে যদি বিচার না পাই তাহলে সাধারণ মেয়েরা কোথায় যাবে?’

বুধবার (২৪ জুন) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্লাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে এ দাবি জনান পারুল। প্লাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে আছেন পারুল, তাতে লেখা আছে—‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি কি বিচার পাবো না?’

পারুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘লড়াইটা একাই করছি। পাশে তেন কাউকে পাচ্ছি না, যার ক্ষমতা আছে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পর্যন্ত পৌঁতে পারেন ‘ পারুলের এই প্রশ্নের উত্তর শুনে কেউ কোনও জবাব দেননি। লগাই তার অনেকেই ফেসবুকে বা কলাম লিখে মন্ত্রব্য করেছেন। লড়াই তার একার তা বলা হলেও ইঙ্গিত করা হয়েছে সমাজের সচেতন সব মানুষেরই এই লড়াই। লড়াইটা পারুলের একার নয়।

দৈনিক সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত পারুল। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্লাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্লাবন আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। ফেসবুক হ্যাক করার চেষ্টা করছে। আমাদের কতিপয় সাংবাদিক নেতা ও পুলিশ প্রশাসন বলছেন এটা সাংবাদিকদের বিষয় সমঝোতা হয়ে যাবে। এটা তো আমার জীবন। আমি জানি সমঝোতা হবে কী হবে না। সে আমার বাচ্চার ভ্রুণ নষ্ট করেছে। আমি চাই একজন নারী নির্যাতনকারী, যৌতুকলোভী, ভ্রুণ নষ্টকারীর বিচার হোক। আমি সাংবাদিক হয়ে যদি বিচার না পাই তাহলে সাধারণ মেয়েরা কোথায় যাবে?’

প্লাবনের গ্রেফতারের দাবি পারুলের

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে পারুল বলেন, ‘প্রশাসন আমাকে হেল্প করতে চায় না। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। প্রধানমন্ত্রী একজন মায়ের মতো। অন্তত তিনি যেন আমার দুঃখটা বোঝেন। আমি চাই, প্লাবনকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। সে আমাকে কখন মেরে ফেলবে, এটাও বলা যাচ্ছে না। আমি নিজে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আশাকরি, তার অফিস যুগান্তর থেকেও যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এমন মানুষ সাংবাদিকতায় থাকতে পারে না।’

এর আগে ১১ মে হাতিরঝিল থানায় যুগান্তরের রিপোর্টার রেজাউল করিম প্লাবনের বিরুদ্ধে যৌতুক দাবি, শারীরিক নির্যাতন ও ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে মামলা করেন তার স্ত্রী পারুল আক্তার। প্রেমের সম্পর্ক থেকে এ বছর ২ এপ্রিল তারা বিয়ে করেন।