দুই দলের ভিন্নমতে সংলাপ সম্ভব নয়: তোফায়েল
এপ্রিল ১৩, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, “আমি সংলাপের কোনো সম্ভাবনা দেখি না। দুটি দল যে অবস্থান ও ভিন্নমত রয়েছে তাতে সংলাপ সম্ভব নয়।”
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বর্তমান বাংলাদেশ: রাজনৈতিক প্রেক্ষিত ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি’ বিষয়ের ওপর গোলটেবিল আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ সংলাপের আয়োজন করে। সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে দেশের রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদরা অংশ নেন।
তিনি বলেন, “আমরা অতি মাত্রায় রাজনীতিবিদ হয়ে যাই। আজকের মতো এ ধরনের অনুষ্ঠানে এসেও যেসব লোক অতি মাত্রার রাজনৈতিক বক্তব্য দেন তা কেবল দলীয় ফোরামে দেওয়া যায়। এ ধরনের অনুষ্ঠানে তা কাম্য নয়।”
তোফায়েল আহমেদ বলেন, “ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ বন্ধ হবে যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ হয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা না হলে আজকের এই সমস্যা তৈরি হতো না। এটি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার।”
সাবেক এ শিল্পমন্ত্রী বলেন, “সামরিক শাসকদের জাঁতাকলে রাজনীতি হারিয়ে গেছে। আপনাদের সবার কথা উঠে এসেছে রাজনীতিকদের হাতে রাজনীতি নেই। রাজনীতি কলুষিত হয়ে গেছে।”
তিনি বলেন, “ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে নয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে যে দেশ স্বাধীন হয়েছে সেখানে হেফাজতের ১৩ দফা মানা সম্ভব নয়।”
সম্প্রতি বিরোধীদলীয় নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সিঙ্গাপুর থেকে নামামাত্র গ্রেফতার করে আমাকে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, ফ্লোরে রাখা হয়। পরে কাশিমপুর কারাগারে খুনি এরশাদ শিকদারের কনডেম সেলে রাখা হয়। হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কুষ্টিয়া জেলে। আর দেখি মুজাহিদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা ওড়ে।”
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর উদ্দেশে বলেন, “তোমার মতো কথা বলে আমি কি তোমার মতো অবস্থানে চলে যাবো। ড. কামাল যখন বলেন, তুমি মুখ খোলো না কেন, আমি বলি, আমিও কি কথা বলে আপনার অবস্থানে চলে যাবো। আমি আজীবন এই দলের কর্মী হয়ে থাকবো।”
হরতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা অনেক হরতাল দিয়েছি। মানুষ সব কিছু বন্ধ করে পল্টনে এসেছিল। এজন্য গাড়ি ভাঙতে হয়নি, পিকেটিং করতে হয়নি, পুলিশকে পেটাতে হয়নি। হরতাল তার আবেগ, কার্যকারি হারিয়েছে। আগে হরতালের আহ্বানে মানুষ সাড়া দিতো, এখন ভয়ে আসে না।”
তোফায়েল আহমেদ বলেন, “আমার কোনো দফা নেই, সশস্ত্র বাহিনী সময়মতো জবাব দেবে- বিরোধী দলীয় নেত্রী যখন এ ধরনের কথা বলেন তখন তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুও থাকে না।