চিকিৎসকের বিকল্প রোবট তৈরি করেছ পলিটেকনিকের ৫ শিক্ষার্থী

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০

মানুষের চিকিৎসায় চিকিৎসকের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে সক্ষম রোবট তৈরি করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৫ শিক্ষার্থী। ‘মিস্টার ইলেক্ট্রোমেডিকেল’নামের এ রোবট মানুষের শরীরের তাপমাত্রা, হার্টবিট, অক্সিজেনের পরিমাণ ও রক্তচাপ পরিমাপসহ রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে পারবে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগর ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন খানের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রো মেডিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আশিকুর রহমান, মো. আনাসুর রহমান, মো. মীর আমিন, মেহেদী হাসান ও ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল মোন্নাফ ‘মিস্টার ইলেক্ট্রোমেডিকেল’ রোবটটি তৈরি করেছেন। এতে সহযোগিতা করেছেন ইলেক্ট্রো মেডিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) মো. আবুল কাশেম।

রোবটটির নির্মাণ ব্যয় মাত্র ৫০ হাজার টাকা।  রোবটটিতে বিপি মনিটর, ইসিজি সেন্সর, পালস্ অক্সিমেটরি সেন্সর, জিসিইউ সেন্সর, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও থার্মাল স্ক্যানার যুক্ত করে মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য উপযোগী করে তোলা হয়েছে।  আর চলাফেরার জন্য ক্যামেরা ও আল্ট্রাসনিক সেন্সর লাগানো হয়েছে।  রোবট নিয়ন্ত্রণে স্থাপন করা হয়েছে রেসবেরি পাই (Raspberry Pi), আরডোইনো মেগা (Arduino Mega) ও আরডোইনো ইউএনও (Arduino UNO)।

সালাম দেয়াসহ দেশের নাম, জাতির জনকের নাম ও প্রধানমন্ত্রীর নাম বলতে পারে এ রোবট। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাদকাসক্ত কাউকে শনাক্ত করতে এবং আগুন লাগার খবর দিতে রোবটটিতে নতুন ফিচার হিসেবে অ্যালকোহল ডিটেক্টর ও ফায়ার অ্যালার্ম যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। রোবটটি যে কোনও জায়গা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপস্ তৈরির কাজও করছে ওই পাঁচ শিক্ষার্থী।

রোবটের নির্মাতাদের পক্ষ হতে জানানো হয় হাসপাতালে ডাক্তার না থাকলেও  এ রোবট যেন চিকিৎসকের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে সেজন্য তারা এটিকে আরও আধুনিক ও উন্নত করার চেষ্টা করছে।

নির্মাতারা দাবী করেছেন, কোনও ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে কেউ না গেলেও রোবটটি আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে গিয়ে তার শরীরের তাপমাত্রা, রক্তচাপ, হার্টবিট ও অক্সিজেনের পরিমাণ পরিমাপ করতে পারবে। একই সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে ওষুধ ও খাবার সরবরাহ করতে পারবে।