বিক্রি বন্ধ নয়, এবার ‘নোট-গাইড’ কিনতে বাধ্য না করার নির্দেশ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০

‘নোট-গাইড’ বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য না করতে শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গত শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের এক অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের এই নির্দেশ দেন তিনি।  

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি একটি অনুষ্ঠানে নোট গাইড বন্ধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।  মন্ত্রীর এই নির্দেশনায় সারাদেশে পুস্তুক বিক্রি কেন্দ্রে পুলিশি হয়রানি শুরু হয়।  সংবাদপত্রে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হয়।  

এরপর শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের ওসমানী নগরে প্রবাসী বালাগঞ্জ ওসমানীনগর এডুকেশন ট্রাস্টের আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “নোট-গাইড বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করবেন না। অহেতুক শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা বাড়াবেন না। এটা অনৈতিক কাজ। ” একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে করাতে বাধ্য না করারও নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

এদিকে শনিবার (২৩ ফেব্রয়ারী) প্রস্তাবিত আইনের কয়েকটি ধারা-উপধারা সংশোধনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ পুস্তুক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। সংবাদ সম্মেলনে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে পুস্তক বিক্রি কেন্দ্র বন্ধ ও মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে।

এরপর ওইদিন রাতেই শিক্ষান্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির নেতারা। পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির নেতারা শিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর শিক্ষামন্ত্রী আগের অবস্থান থেকে সরে আসেন।

বাংলাদেশ পুস্তুক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আহবানে সন্তুষ্ট হয়ে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য  মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসুচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

পুস্তুক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি জানায়, প্রস্তাবিত আইনে ‘নোট-গা্ড বইকে সজ্ঞায়িত করা হলেও বাজারে ‘নোট-গাইডে’র অস্তিত্ব নেই। বাজারে অনুশীলনমূলক সৃজনশীল সংস্করণ বই বিক্রি হয়। অথচ অনুশীলনমূলক বইকে সজ্ঞায়িত করা হয়নি। আইনের খষড়ায় অনুশীলন মুলক বইকে সজ্ঞায়িত করে তা বিক্রি ও বাজারজাত অব্যহত রাখার দাবি করা হয়েছে।