২০ নম্বর ওয়ার্ড হবে দক্ষিণের সেরা: রতন

জানুয়ারি ২৫, ২০২০

আধুনিক নাগরিক সুবিধার মডেল ওয়ার্ড গড়ার লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ঠেলাগাড়ি মার্কায় কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন।

২০১৫ সালে কাউন্সিলর হিসেবে জয়লাভ করে এলাকার উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত করার ফল হিসেবে ফের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। নির্বাচনে সার্বিক প্রস্তুতি ও পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় ‘ঢাকা জার্নালের’ সঙ্গে।  ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনিয় রিপোর্টার দোলোয়ার মহিন

ঢাকা জার্নাল: গেল পাঁচ বছরে ওয়ার্ডের জন্য আপনি কি কি করেছেন?

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন: গত পাঁচ বছরে আমার ওয়ার্ডের ২৮টি রাস্তা আধুনিকায়ন করেছি। ১০ কিলোমিটার ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ করেছি। এলইডি সড়কবাতি লাগিয়েছি ৫০০টি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম সম্পূর্ণ এসটিএসে স্থানান্তর করেছি। ১০ হাজার জন্ম-মৃত্যু-ওয়ারিশান সনদ দিয়েছি। যাতে কাউকে একটি টাকাও দিতে হয়নি।

এছাড়া, অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করে সেগুনবাগিচায় দুই লেনের রাস্তা তৈরি করেছি। এতে এলাকায় যানজট কমেছে। সেইসঙ্গে চারটি অত্যাধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মিত হয়েছে। এছাড়া কাজ চলছে ওসমানী উদ্যানের গোস্বা পার্ক নির্মাণ, শিশুপার্ক আধুনিকায়ন, মৎস্য ভবনের পাশে ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের। সেইসঙ্গে গুলিস্তানের পোড়া মার্কেট ও ঢাকা ট্রেড সেন্টার, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট ও বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের কাজও চলছে।

তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে রাজধানীতে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রায় মহামারি আকার ধারণ করেছিল। কিন্তু সেগুনবাগিচা ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা এতে খুবই কম আক্রান্ত হয়েছেন। এডিস মশার লার্ভাও সবচেয়ে কম পাওয়া গেছে এ এলাকায়। আর এটা সম্ভব হয়েছে ব্যাপক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার কারণে।

ঢাকা জার্নাল: যদি পূনরায় কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন তাহলে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন: প্রথমত মানবসেবা আর মানবাধিকার সুনিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আমার এই ওয়ার্ড দেশের শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপীঠ ছাড়াও রয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ওসমানী উদ্যান, রমনা পার্ক, উদীচী, শিল্পকলা একাডেমী, শিশু একাডেমি, কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার আসর, এশিয়াটিক সোসাইটি, পরিসংখ্যান বুরো, টেনিস কোর্ট, ঢাকা ক্লাব, রূপসী বাংলা হোটেল, প্রেসক্লাব, সচিবালয়। সেগুনবগিচা, তোপখানা রোড, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও রেস্ট হাউজ, টিবি ক্লিনিক এলাকা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আবাসিক এলাকা, হাইকোর্ট স্টাফ কোয়ার্টার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ফুলবাড়িয়া স্টেশন পূর্ব এলাকা, ফুলবাড়িয়া পশ্চিম ও সেক্রেটারিয়েট রোড, আব্দুল গনি রোড ও সচিবালয় স্টাফ কোয়ার্টার, পুরাতন রেলওয়ে কলোনী পশ্চিম, রেলওয়ে হাসপাতাল এলাকা, ইস্টার্ণ হাউজিং ও টয়েনবী সার্কুলার রোড, রমনা গ্রীন হাউজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক এলাকা, নজরুল ইসলাম হল, আহসান উল্লাহ হল, তীতুমীর হল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস (ফজলে রাব্বি হল), শেরে বাংলা হল (প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়), সোহরাওয়ার্দী হল (প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়), শহিদুল্লাহ হল, ফজলুল হক হল, ড. এম এ রশীদ হল, শহীদ স্মৃতি হল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী হল সহ বিস্তৃর্ণ এলাকা নিয়ে দক্ষিণ সিটির এ ওয়ার্ডটি গঠিত।

আমি এই এলাকা গুলোতে যেসব কাজ চলমান আছে প্রথমত তা সম্পন্ন করা, যেসব উন্নয়ন কাজ হয়েছে, তা ঠিক রাখা আমার পরিকল্পনা। সেইসঙ্গে এলাকায় একটি আধুনিক কমিউনিটি সেন্টারও চালু করতে চাই।

আমি বলতে চাই শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি নয়, সবাইকে সাথে নিয়ে উন্নত নাগরিক সেবার মডেল ওয়ার্ড হিসাবে ২০ নম্বর ওয়ার্ডকে গড়ে তুলবো। অতীতে যেমন আমি কাজ করে গিয়েছি এবারো একসাথে ওয়ার্ডের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যাশা আমার।