প্রতিটি ঘরের দরজায় সেবা পৌঁছে দেবো: সাঈদুর রহমান রতন

জানুয়ারি ১০, ২০২০

একজন মানুষ যদি তার সততা, সদিচ্ছা ও সাহসিকতার যথাযথ ব্যবহার সঠিক ভাবে প্রয়োগ করে সমাজকে কিছু উপহার দিতে চান তবে তা অনায়াসেই সম্ভব। এমন দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চান ৫৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে সতন্ত্র প্রার্থী ‘সাঈদুর রহমান রতন’।

বর্তমান থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সাবেক কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি দায়িত্বে ছিলেন।ওই ওয়ার্ডের সার্বিক পরিস্থিতিও নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে কথা হয় ঢাকা জার্নালের সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার দোলোয়ার হোসেন মহিন।  

ঢাকা জার্নাল: ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচন করার ইচ্ছে হলো কেন?

সাঈদুর রহমান রতন: আমি সংগঠন করি দির্ঘদিন ধরে। বর্তমান থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সাবেক কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি দায়িত্বে ছিলাম। আমি এতটুকু বুঝি যে,  একা অনেক কিছু করা সম্ভব নয়। তাই দায়িত্বে থাকা প্রয়োজন অবশ্যই। সেই চিন্তা থেকে নির্বাচনে আসা।  

ঢাকা জার্নাল: আপনার এই ওয়ার্ডে কি কী সমস্যা রয়েছে? প্রধান সমস্যা কী?

সাঈদুর রহমান রতন: আমার এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিসহ নানাবীধি সমস্যা রয়েছে। তবে মহামারী আকার নিয়েছে মাদক। যা বর্তমান কাউন্সিলর দূর করতে ব্যর্থ। পাশাপাশি সামাজিক বিশৃঙ্খলাও রয়েছে।

এছাড়া এই ওয়ার্ডের মূল রাস্তা ঠিক থাকলেও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো একেবারেই অপ্রশস্ত। বড় কোনো যাত্রী ও মালবাহী যানবাহন প্রবেশ করতে পারে না সড়কগুলো দিয়ে। জরুরি মুহূর্তে অ্যাম্বুলেন্স আসতে পারে না। ফায়ার সার্ভিসতো নয়ই। সুপেয় পানির সমস্যা রয়েছে। এই ওয়ার্ডে একটি খেলার মাঠও নেই। রয়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থার দুর্বলতা। এই ওয়ার্ডে কোন মা ও শিশু ক্লিনিক নেই যার কারণে প্রয়োজনে অনেক দূরে যেতে হয়। সব মিলিয়ে এই ওয়ার্ডে নাগরিক সেবা অপ্রতুল।

ঢাকা জার্নাল: এই ওয়ার্ডের মানুষ ভালোবেসে আপনাকে বিজয়ী করে পরে আপনি এই সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করবেন? 

সাঈদুর রহমান রতন: আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে  সেভাবে কাজ করতে চাই যেটা জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে এবং দীর্ঘমেয়াদী কাজগুলো  বাস্তবায়ন করে যাব।  এমন ভাবে কাজ করতে চাই যেন  আমার কাজ আবার কাজ আমাকে  জনগণের কাছে নিয়েআসে এবং আমাকে পুনর্নির্বাচিত করতে এলাকাবাসী উদ্বুদ্ধ হোন।    

মাদক, চুরি-ছিন্তাই, অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে সুস্থ সামাজিক বিনোদন ব্যবস্থা এবং খেলাধুলার  পরিবেশের ব্যাবস্থা করতে হবে। এলাকাবাসীর জন্য খেলারমাঠ  খুবই জরুরি। এর জন্য আমি আগেও চেষ্টা করেছি এবং এইসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।  এই এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি মহল্লার ভেতরে সরু রাস্তাগুলো চলাচলের উপযোগী করে তোলা। নতুন কিছু রাস্তা, পুরনো রাস্তা সংস্কার করা। আমি সবসময় ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখবো।  এই ওয়ার্ডকে সিসি ক্যামেরার চাদর মুড়ে দেবো যাকে করে আর কেউ অপরাধ কর্মকাণ্ড করতে সাহস না পায়। এছাড়া রাত এলে এই ওয়ার্ডে যেন অন্ধকার না আসে তার জন্য ল্যাম্প লাইট স্থাপন করবো ওয়ার্ডজুড়ে। থাকবে সর্বসাধারণের জন্য ফ্রী ওয়াইফাই। ওয়ার্ডে বসবাসকারী সর্বসাধারণের জন্য ফ্রী অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকবে। একটি মা ও শিশু ক্লিনিক স্থাপন করবো এই ওয়ার্ডে যাতে করে বিপদ সময়ে কাউকে আর দূরে যেতে না হয়।   

চব্বিশ ঘন্টা তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু সহ ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অভিযোগ ও সুপরামর্শের জন্য বক্স লাগিয়ে দেওয়া হবে।

ঢাকা জার্নাল: আপনি আপনার ওয়ার্ড কেমন দেখতে চান কীভাবে গড়তে চান?

সাঈদুর রহমান রতন: এক কথায় বলতে চাই আমি এই ওয়ার্ডকে সিটি করপোরেশনের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যাতে করে অন্যন্য ওয়ার্ডগুলো এই ওয়ার্ডকে অনুসরণ করে। এই ওয়ার্ডটি পরিষ্কার-পরিছন্ন করে সবুজ গাছপালা দিয়ে ঢেকে দেবো। মানুষ যেন যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে সেই ব্যবস্থা করবো। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরো দক্ষ পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দিতে হবে।  এছাড়া ১২ মাসই মশক টিম কাজ করবে যাকে করে কোন ধরনের দূর্ঘটনা না ঘটে।

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটিতে ভোট নেওয়া হবে।