বিজেএমসিকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ

নভেম্বর ২৬, ২০১৯

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)-এর নিয়ন্ত্রলাধীন পাটকলগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া মজরি ও বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য একশত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রাধীন মিলগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের আগষ্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বকেয়া মজরি ও বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে অর্থ বিভাগের ‘অপ্রতাশিত ব্যয়’ খাত থেকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অওতাধীন বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) -এর অনুকূলে ‘পরিচালনা ঋণ’ খাতে এই টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তবে অর্থ বিভাগ থেকে বরাদ্দ এই টাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিজেএমসিকে বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হবে।

শর্তগুলো হল- ছাড় করা ১০০ কোটি টাকা চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) বিজেএমসি’র মিলগুলোর জন্য বর্ণিত খাত ছাড়া অন্যকোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না। এ ছাড়া ছাড় করা অর্থ সুনির্দিষ্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট পে-চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। এ অর্থ ব্যয়ের ৭ দিনের মধ্যে মিলভিত্তিক কর্মচারী ও শ্রমিকদের তালিকাসহ বিস্তারিত ব্যয় বিবরণী অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে। এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। বিধি বহির্ভূতভাবে কোনো অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।

আর্থিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, বিজেএমসি ও অর্থ বিভাগের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে বর্ণিত শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। ছাড় করা অর্থ বিজেএমসির অনুকূলে ‘সরকারি ঋণ’ হিসেবে গণ্য হবে, যা আগামী ২০ বছরে (পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ) পাঁচ শতাংশ সুদে ষান্মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিজেএমসির একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

বরাদ্দ দেওয়া ১০০ কোটি টাকা কেবল শ্রমিকদের মজুরি এবং কর্মচারীদের বকেয়া মজুুর ও বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে।