হলি আর্টিজান মামলার রায়কে ঘিরে ‘ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক’

নভেম্বর ২৫, ২০১৯

ঢাকা জার্নাল: রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা মামলার রায়কে ঘিরে নাশকতা ঠেকাতে পুলিশের ‘ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক’ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিন্টো রোডের মিডিয়া সেন্টারে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।


রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে ভাটারা এলাকা থেকে পুরনো জেএমবির (জামাতুল ‍মুজাহিদীন বাংলাদেশ) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি’র স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ। তারা হলো, পুরনো জেএমবির অস্থায়ী আমির আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে আব্দুল হাদী, হাবিবুর রহমান ওরফে চান মিয়া ও মো. রাজীবুর রহমান ওরফে রাজীব ওরফে সোহাগ। ২৭ নভেম্বর হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায়কে ঘিরে কোনও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে কিনা, সাংবাদিকের এ প্রশ্নে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গুলশানের ভাটারা এলাকা থেকে যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা পুরনো জেএমবি। আর যারা হলি আর্টিজান হামলায় অংশ নিয়েছিল এবং পরিকল্পনায় ছিল তারা সবাই নব্য জেএমবির। তবে গ্রেফতার আবু রায়হানের সঙ্গে অনেকের যোগাযোগ ছিল। মামলার রায়কে কেন্দ্র করে এই গ্রুপটির কোনও নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কিনা, সে বিষয়ে আমরা তাদের কাছ থেকে এখনও কোনও বক্তব্য পাইনি। আমরা জানতে পারিনি, তবে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’


তিনি বলেন, ‘হলি আর্টিজান হামলায় নব্য জেএমবির যারা সরাসরি অংশ নিয়েছিল, যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছিল, তাদের পাঁচজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পাশাপাশি তাদের যারা নেতা এবং মূল পরিকল্পনাকারী, তাদের বেশ কয়েকজন অর্থাৎ আটজন বিভিন্ন সময় পুলিশের অভিযানে নিহত হয়েছে, কেউ আত্মহত্যা করেছে। মামলায় আটজন আসামি রয়েছে। তাদের কেন্দ্র করে অর্থাৎ এই রায়কে কেন্দ্র করে বা তাদের ছাড়িয়ে নিতে কিংবা অন্য কোনও নাশকতা কর্মকাণ্ড যাতে না করতে পারে, সেজন্য আমাদের ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক অব্যাহত রেখেছি। জঙ্গিদের যে সেল রয়েছে তারা এবং সাইবার জগতে এরা অ্যাকটিভ রয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নব্য জেএমবির পাঁচজনের সেলের তিনজন গ্রেফতার হলেও দু’জন এখনও গ্রেফতার হয়নি। তাদের কর্মকাণ্ড আমরা নজরদারিতে রেখেছি। পাশাপাশি তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলাকারী নব্য জেএমবির সেলটি বোমা তৈরি করতে জানে। তারা অভিজ্ঞ। তারা পাঁচটি ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের দু’জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে তারা কোনও নাশকতা চালাতে না পারে। তাদের ছবি ও তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা করে পুলিশ। আগামী ২৭ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ২৫, ২০১৯