নিউ ইয়র্কে ‘হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিনগুলো’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
এপ্রিল ১২, ২০১৩ নিউ ইয়র্ক ঢাকা জার্নাল: নিউ ইয়র্কে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর আগে শেষ দিনগুলো নিয়ে নিয়ে সৃষ্ট নানা জিজ্ঞাসার উত্তর নিয়ে বিশ্বজিত সাহা রচিত ‘হুমায়ূন আহমেদের শেষ দিনগুলো’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। শুক্রবার নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হ্ইাটসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আব্দুল মোমেন বইয়ের লেখক ও প্রকাশককে নিয়ে মোড়ক উন্মোচন করেন।
এ সময় ড. মোমেন বলেন, “নিউ ইয়র্কে হুমায়ূন আহমেদের একজন ঘনিষ্ঠ ও আস্থাবাজন লোক হিসেবে বিশ্বজিতকে সবাই চিনে। মৃত্যুর আগের শেষদিনগুলো হুমায়ূন ভক্তদের অনেক প্রশ্নের সঠিক জবাব পাবে বলে আমি মনে করি। এছাড়াও হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা সন্দেহ কেটে যাবে।”
তিনি বলেন, “শেষদিন চিকিৎসার সময় পর্যন্ত বিশ্বজিত ছিলেন হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে ছায়ার মতো। তাই বিশ্বজিত শাহ’র লেখায় হুমায়ূন ভক্তরা অনেক তথ্য জানতে পারবে।”
ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার বলেন, “হুমায়ূন বাংলা সাহিত্য জগতের এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। তার জীবনের শেষ দিনগুলো যেন তার গল্পের মতোই নানা অজানা ঘটনাবলির মধ্যে হারিয়ে গেল। অনেক প্রশ্ন দেখা দিল, যার সঠিক উত্তর মেলেনি। বিশ্বজিত সাহা সেই শেষ মুহূর্তেও ঘটনাবলি পর পর সাজাতে গিয়ে একটি দিনপঞ্জিকা তুলে ধরেছেন।”
গ্রন্থটির ওপর আরো আলোচনা করেন, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের কালচারাল মিনিস্টার অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমেদ, সাংবাদিক মঞ্জুর আহমেদ, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট হাসান ফেরদৌস, কলামিস্ট নাসিমুন নাহার নিনি।
নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, ফিলাডেলফিয়া, ওয়াশিংটন থেকে আগত উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কবি-সাংবাদিক-লেখক-সাহিত্যিক-শিল্পী এবং সাহিত্যানুরাগীদের উপস্থিতিতে প্রকাশনা উৎসবটি হয়ে ওঠে যেন শিল্প সাহিত্য অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তারার মেলা।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সেমন্তী ওয়াহেদ। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন কানেকটিকাট থেকে আসা শিল্পী শান্তা নাগ। গ্রন্থটির প্রকাশক প্রকৌশলী মেহেদী হাসান শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। বইয়ের বিশেষ অংশ আবৃত্তি করেন আবীর আলমগীর এবং ফারুক ফয়সল। হুমায়ূন আহমেদের পছন্দের গান ‘নিশা লাগিল রে’ পরিবেশন করেন শিল্পী স্বপ্না কাওসার।
অতিথি বক্তাদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. দ্বীজেন ভট্টাচার্য, ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক জয়ন্ত নাগ, মীনাক্ষি দত্ত, অধ্যাপক তলুব আলী।