ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় পাশে থাকার কথা ভুলিনি: প্রধানমন্ত্রী
নভেম্বর ২২, ২০১৯ ঢাকা জার্নাল: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের পাশে ছিল। এই কলকাতাই এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল, তা আমরা কোনোদিন ভুলিনি।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কলকাতার পাঁচ তারকা হোটেল তাজ বেঙ্গলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সৌরভ গাঙ্গুলীর দাওয়াতে এসেছি। দুই দেশের মধ্যে গোলাপি বলে প্রথম খেলা হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণের তরফ থেকে আমি সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ইডেনের ঐতিহাসিক দিবারাত্রির টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ক্রিকেটাররা আজ ভালো করেনি। ইনশাল্লাহ, একদিন ভালো করবে।
বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। দুই বাংলার সঙ্গে আমাদের রিলেশন বরাবরই ভালো। ভারত-বাংলাদেশের রিলেশন বরাবরই ভালো। দুই দেশের মধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে একেবারে ঘরোয়া আলোচনা। শেখ হাসিনাকে আমি আবার এখানে আসতে বলেছি।
বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক যেন এভাবেই বজায় থাকে, সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর আমন্ত্রণে কলকাতায় বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ দেখতে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) কলকাতায় পৌঁছান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। টেস্ট ভেন্যু ইডেনে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরভ গাঙ্গুলী। বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিসিসিআই সভাপতি। কিন্তু, বিশেষ কারণে তিনি আসতে পারছেন না বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হচ্ছে দিবারাত্রির, গোলাপি বলে। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম দুই দল দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে নামবে। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠে গোলাপি বল ও কয়েন ম্যাচ রেফারির হাতে তুলে দেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ইডেন গার্ডেনসের ঐতিহ্যবাহী ঘণ্টা বাজিয়ে দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ উদ্বোধন করেন।
টেস্টের প্রথম সেশন মাঠে বসেই খেলা উপভোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মধ্যাহ্নভোজের পর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। রাত ৮টায় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
অনুষ্ঠান শেষে রাত ১০টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফ্লাইটটি রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে বলে জানানো হয়েছে।
ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ২২, ২০১৯
You must be logged in to post a comment.