‘লক্ষ্মীর গু’ নিয়ন্ত্রণে ১৮ মনিটরিং কর্মকর্তা

নভেম্বর ৬, ২০১৯

বোরো ধানের ‘লক্ষ্মীর গু’ রোগ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে ১৮ জন মনিটরিং কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বোরো ধানের কয়েকটি জাতে এই রোগসহ আরও কয়েকটি রোগ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম ব্যবস্থা হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এই মনিটরিং কর্মকর্তারা গম, ভুট্টা ও আলুসহ বিভিন্ন ফসলের রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণেও কাজ করবেন।
জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের উপ-পরিচালক (বালাইনাশক প্রশাসন) ড. মো. জয়নুল আবেদীন বলেন, “‘লক্ষ্মীর গু’সহ বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে। তারা ফসল পর্যবেক্ষণ করে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে ব্যাপারে সুপারিশ করবেন। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে বা আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, নিম্নচাপের কারণে বেশ কিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও বা মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। এমন ঠান্ডা আবহাওয়ায় এসব এলাকায় ব্রিধান-৪৯, ব্রিধান-৭৮ এবং স্বর্ণা ধানের কিছু কিছু জাতে ‘লক্ষ্মীর গু’ রোগ হতে পারে। সে কারণে আগাম সতর্কবার্তাও দিয়েছে অধিদফতর। এছাড়া এমন আবহাওয়ায় আলু, গম ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের রোগ-বালাইও বাড়ে।
‘লক্ষ্মীর গু’ নামের বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদফতরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের উপ-পরিচালক (বালাইনাশক ও মান নিয়ন্ত্রণ) মো. ফখরুল হাছান বলেন, “এই রোগের প্রচলিত নাম এটি। প্রকৃত নাম হচ্ছে ‘উফরা’।” কাজের সুবিধার জন্য প্রচলিত নামটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অধিদফতর সূত্র জানায়, মনিটরিং কর্মকর্তাদের মধ্যে কীটতত্ত্ববিদ, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ববিদ, রসায়নবিদ ও কৃষিসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একেক কর্মকর্তাকে তিন থেকে চারটি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।