বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা হত্যায় নেপথ্যের কুশীলবরাও ধরা পড়বে

নভেম্বর ৩, ২০১৯

ঢাকা জার্নাল: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডে নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, এ রহস্য উদঘাটন হবে এবং ষড়যন্ত্রকারীরা ধরা পড়বে।

রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যুদ্ধাপরাধী এবং খুনি, এদের সাজা হয়েছে, এদের বিচার হয়েছে। এদের যারা দোসর বা ষড়যন্ত্রকারী, হয়তো আমরা আজকে করে যেতে পারলাম না, আমরা করার চেষ্টা করবো বা আগামীতে যারা আসবে।’

তিনি বলেন, ‘ইতিহাস কোনো দিন মুছে ফেলা যায় না। তখন এই ষড়যন্ত্রকারীরাও এক সময় ধরা পড়বে। তাদের সে রহস্য উদঘাটন অবশ্যই হবে। কেউ না কেউ এটা করবে, এটা আসবে, এটা হবেই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নাম যখন মুছে ফেলা হয়েছিল এদেশ থেকে, তখন বলেছিল আর কোনো দিন এ নাম ফিরে আসবে না। কিন্তু তা হয়নি। ২১ বছর পর আবার ফিরে এসেছে।’

‘যাই হোক এইটুকু বলবো, জনগণের সমর্থন নিয়ে আমরা বারবার সরকারে এসেছি বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে তাদের রায় কার্যকর করতে পেরেছি, জাতির পিতা হত্যার বিচার করে আমরা কার্যকর করতে পেরেছি, ৩ নভেম্বরের বিচার করে আমরা কার্যকর করেছি। এখনো এখানে-সেখানে যে কয়টা খুনি পালিয়ে আছে আমরা তাদের খোঁজখবর করছি। অন্যায়কে আমরা প্রশ্রয় দেইনি।’

বিএনপি নেতা-কর্মীদের মেরুদণ্ড ও আত্মমর্যাদা নিয়ে সন্দেহ
বিএনপি নেতা-কর্মীদের মেরুদণ্ড ও আত্মমর্যাদা আছে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘একটা দল, তার চেয়ারপারসন এতিমের অর্থ আত্মসাতে জেলে, আবার ভারপ্রাপ্ত যাকে করলো- বাংলাদেশে এত নেতা থাকতে বিএনপির নেতার এতই অভাব হয়ে গেলো যে, একজন নেতা পেল না যে- আরেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং যে পলাতক, তাকে বানালো ভারপ্রাপ্ত, বিএনপির নেতৃত্বের এত অভাব!’

‘আমি জানি না যারা বিএনপি করেন ওনাদের কোনো মেরুদণ্ড আছে কি-না সেটাই আমার সন্দেহ, তাদের কোনো আত্মমর্যাদা বোধ আছে কি-না সেটাই আমার সন্দেহ।’

বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময়
বিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে জানতে চায় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে সারা বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময়। সে সম্মান বাংলাদেশ পেয়েছে, এই সম্মান আমাদের ধরে রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ, সারাবিশ্বে অনেকে প্রশ্ন করেন আমাকে- আমরা এত দ্রুত কীভাবে এই উন্নতিটা করতে পারলাম! আমার কথা একটাই, যদি আন্তরিকতা থাকে, আর যেটা আমার বাবা-মায়ের কাছে শিখেছি- দেশকে ভালবাসা, দেশের মানুষের প্রতি যদি দরদ থাকে, ভালবাসা থাকে, দায়িত্ববোধ থাকে, কর্তব্যবোধ থাকে তাহলে অসাধ্য সাধন করা যায়। মানুষের সমর্থন পাওয়া যায়। এটা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একদিকে অর্থনৈতিকভাবে দেশের উন্নতি করা, দেশের অবকাঠামোসহ সার্বিক উন্নয়ন, পাশাপাশি দারিদ্র্যের হাত থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দিয়ে, ঠিক জাতির পিতা যেভাবে চেয়েছেন এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, আবদুল মতিন খসরু, সাহারা খাতুন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আনোয়ার হোসেন, একে এম রহমত উল্লাহ, শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।

সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ০৩, ২০১৯