রাজধানীতে ৫২ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী, সঙ্গে বৃষ্টি

মে ১৪, ২০১৯

টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমের পর কালবৈশাখী ঝড় আর বৃষ্টিতে ভিজলো রাজধানী ঢাকা। রাত ১১টার দিকে শুরু হয় ধূলিঝড়। এরপর শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া বজ্রসহ মুসলধারে বৃষ্টি।

রাত হওয়ায় রাজধানীর রাস্তায় জনসমাগম কম থাকায় বৃষ্টিতে দুর্ভোগ তুলনামূলক কম। পথে যারা ছিলেন তারাও দ্রুত পা চালিয়ে বাড়ি ফেরেন। বাকিরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে আশেপাশের দোকানপাট, বাড়ির সামনের বারান্দা ইত্যাদিতে আশ্রয় নিয়েছেন। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া থাকায় নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া পথে বের হচ্ছেন না কেউ।

আজ সোমবার (১৩ মে) দিনের বেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটিতে ৩৭ দশমিক ২। ঢাকায় এ সময় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫। গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও তাপদাহে পুড়ছিল সারাদেশ।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, ঘণ্টায় ৫২ কিলোমিটার বেগে ঝড় হচ্ছে এখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আজ সারা রাত বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। এতে কমে যাবে তাপমাত্রা। তবে গ্রীষ্মের এই তাপমাত্রা মাঝে মাঝেই অনুভূত হবে। আবার বৃষ্টি হলে তা কমে যাবে বলে তিনি জানান।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত । এই লঘুচাপের প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বৃষ্টির কারণে রাজশাহী, পাবনা, মাইজদিকোর্ট ও রাঙ্গামাটি অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।

এদিকে আবহাওয়ার এক বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, আগামী চার ঘণ্টা অর্থাৎ রাত একটা পর্যন্ত রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।