এবার দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের প্রস্তুতি দিনাজপুরে!

জুন ২৩, ২০১৭

ঢাকা জার্নাল:জানা গেছে, একসঙ্গে এত লোক নামাজ আদায় করার মতো ঈদগাহ মাঠ উপমহাদেশে আর একটিও নেই! প্রায় ৫ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে যাতে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন সেজন্য নির্মাণ করা হয়েছে ৫২ গম্বুজ বিশিষ্ট মিনার। ঈদগাহ মিনারের মূল অংশ তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এই ৫২ গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে ২টি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এই সব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ ৫১৬ ফুট।

দেশের সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক গোড়-এ-শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকের প্রায় অর্ধেক জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেক গম্বুজে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। মিনার দুটির উচ্চতা ৫০ ফিট, যে মেহেরাবে খতিব বয়ান করবেন সেটির উচ্চতা ৫০ ফুট। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়, পরে তা ৬ মাস বর্ধিত করা হয়। বিস্তৃীর্ণ মাঠে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে বালু ভরাটের কাজ চলছে। এ কারণে ভেঙে ফেলা হচ্ছে শতবছরের স্টেশন ক্লাব। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বিশাল এই ঈদের জামাতকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ও সদর আসনের এমপি ইকবালুর রহিম এলাকার সব জামে মসজিদের খতিব, ইমাম, নির্বাচিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা করেছেন।

পুলিশ সুপার মো. হামিদুল আলম জানান, প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের ঈদের প্রধান জামাতকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদগাহের চারপাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির পর জামাতে প্রবেশ করানো হবে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সাদা পোশাকে ঈদগাহ প্রাঙ্গণে দায়িত্ব পালন করবেন। র‌্যাবসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরাও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সক্রিয় থাকবেন।

ঈদের জামাত সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে করতে জেলা প্রশাসন ও দিনাজপুর পৌরসভা প্রশাসন পৃথক পৃথক সভা করেছেন। ওইসব সভা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে জামাত শুরু হবে। দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব শামসুল ইসলাম কাশেমী বৃহত্তম ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন।

দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম জানান, এই ঈদের জামাতে যাতে করে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটনা না হয় সেজন্য সব ধরনের নিরাপত্তাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা হবে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।

জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম জানান, শুধু বাংলাদেশে নয়, উপমহাদেশে এত বড় মিনার সম্বলিত ঈদগাহ মাঠ আর একটি নেই। এখানে প্রায় ৫ লাখ মানুষের ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে যা শোলাকিয়ার চেয়েও বড়। লোক সমাগম বৃদ্ধি করতে বিভিন্নস্তরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এই ঈদগাহ মাঠে লোক সমাগম অনেক বেশি হবে, যা ইতিহাস হয়ে থাকবে।’

ঢাকা জার্নাল, জুন ২৩, ২০১৭।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.