বিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ

জুন ২২, ২০১৭

ঢাকা জার্নাল:ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রহিমানপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকায় দুই চাচাতো বোনকে বিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক পল্লী চিকিৎসক ও কবিরাজের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের অভিযোগে পল্লী চিকিৎসক নরেন চন্দ্র রায় ও কবিরাজ বালিশ্বর চন্দ্র রায়কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকার দুই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে একই এলাকার কবিরাজ বালিশ্বর চন্দ্র রায়ের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সুবাদে ওই দুই চাচাতো বোন কবিরাজ বালিশ্বরকে নানা বলে সম্মোধন করতো। কবিরাজ দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই কিশোরীর বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজছিলেন।

বুধবার বিকালে পরিকল্পিতভাবে পাত্র দেখার কথা বলে ওই দুই বোনকে কবিরাজ তার বাড়িতে আসতে বলেন। কবিরাজের কথা অনুযায়ী পরিবার দুই কিশোরীকে তার বাসায় পাঠিয়ে দেয়। পরে কবিরাজ বালিশ্বর পাশের ভেলাজান এলাকার পল্লী চিকিৎসক নরেন চন্দ্র রায়কে নিয়ে এসে চেতনানাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করেন ওই দুই কিশোরীকে। পরে তারা দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। সকালে ওই দুই কিশোরীকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেন কবিরাজ। কিছুদূর যাওয়ার পর কিশোরীরা আবারও জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

এলাকাবাসী পরিবারকে খবর দিলে তারা দুই বোনকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে কিশোরীদের কথা অনুযায়ী এলাকাবাসী কবিরাজ বালিশ্বর ও চিকিৎসক নরেনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জিন্নাহ পারভীন জানান, ওই দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে ধর্ষণ হয়েছে কিনা।

সদর থানার উপ-পরিদর্শক হানিফ জানান, ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে জনগণ আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, ওই দুই কিশোরী আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ঢাকা জার্নাল, জুন ২২, ২০১৭।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.