নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি কূটনীতিক গ্রেপ্তার

জুন ১৩, ২০১৭

ঢাকা জার্নাল: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসের ডেপুটি কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গৃহকর্মীকে নির্যাতন ও মজুরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে স্থানীয় সময় সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শ্রমিক পাচার ও বিনা বেতনে নির্যাতনের মাধ্যমে কাজ আদায়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

কুইন্স জেলার অ্যাটর্নি রিচার্ড ব্রাউন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কুইন্স সুপ্রিম কোর্টে হাজির করার পর তাঁকে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে ৫০ হাজার ডলারের বন্ড অথবা নগদ ২৫ হাজার ডলারে তার জামিন ধার্য করে আদালত।

ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, শাহেদুলের পূর্ণ কূটনৈতিক দায়মুক্তি নেই। দোষী সাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ ১৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বাড়ির কাজে সহায়তার জন্য মোহাম্মদ আমিন নামে এক ব্যক্তিকে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে নিয়ে যান শাহেদুল।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিউ ইয়র্কে পৌছার পরই আমিনের পাসপোর্ট নিয়ে নেওয়া হয় এবং তাকে দিয়ে দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করানো হতো। আমিনের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল তাতে তাকে বেতন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে তাকে কখনোই বেতন দেওয়া হয়নি।’

এতে আরো বলা হয়,‘অভিযোগকারী যদি বিবাদীর আদেশ মানতে অস্বীকৃতি জানাতো তাহলে তাকে মারধর করা হতো। তাকে কখনো হাত দিয়ে আবার কখনোবা জুতা দিয়ে প্রহার করা হতো।’

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক মুখপাত্র রয়টার্সের কাছে দাবি করেছেন, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে শাহেদুলের বিরুদ্ধে আমিন অভিযোগ এনেছেন। তারা মনে করেন আমিনের অভিযোগ সাজানো ও ভিত্তিহীন।

মুখপাত্র শামিম আহমাদ বলেন, ‘এখানে দেখার বিষয়, আমিনের দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ডের জন্য শাহেদুল তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। আমরা আশা করি আদালত ন্যায়বিচারের ভিত্তিতেই রায় প্রদান করবে।’

২০১৬ সালে শাহেদুলের বাসা থেকে আমিন পালিয়ে যান।

ঢাকা জার্নাল, জুন ১৩, ২০১৭।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.