মেয়ে হত্যার বিচার ফেলে বিয়ের পিড়িতে মালদ্বীপের চিকিৎসক আথিফ

জুন ৯, ২০১৭

ঢাকা জার্নাল: রাজশাহীতে মেয়ে মেডিকেল ছাত্রী রাউধার মৃত্যুর বিচার চাইতে এসে এবার নিজেই বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন মালদ্বীপের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ আথিফ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তিনি বিয়ে করেন। আতিফের নতুন স্ত্রী রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পিল্লাপাড়া এলাকার বদিউজ্জামানের মেয়ে কনকলতা (৩০)।

জানা যায়, অনেকটা গোপনে ডা. আথিফ বিয়ে করেন। বিকেলে আদালতের বার ভবনে গোপনীয়তার সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি নগরীর লক্ষ্মীপুরে প্যারামেডিকেল কলেজের সামনে তার নতুন স্ত্রী কনকলতার ভাড়া বাড়িতে উঠেন। ডা. আথিফের নতুন স্ত্রী কনকলতা তার বোন রত্নার সঙ্গে থাকেন।

বিয়ের সময় ঠিকানায় ত্রুটির বিষয়টি ধরা পড়ে। সে কারণে ডা. আথিফকে রোববার আবার আদালতে যেতে হবে। বিয়েতে আথিফের মালদ্বীপের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। রাজশাহীর ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে নগরীর বোয়ালিয়া থানার উপভদ্রা এলাকায়।

এদিকে আতিফের নতুন স্ত্রী কনকলতা ও তার পরিবারের লোকজনদের কেউই বিয়ের বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

তাদের আইনজীবী নুরুন নাহার লাভলি বিয়ের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, এটি দুইজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। কনকলতার ৯ বছরের একটি ছেলে আছে। দুই বছর আগে তার চিকিৎসক স্বামী জয়নাল আবেদিন ক্যান্সারে মারা যান। মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানিয়েছেন, তাদের এই বিয়েতে আইনগত কোন বাধা নেই।

গত ২৯ মার্চ রাজশাহীর ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে মডেল রাউধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে নগরের শাহ্ মখদুম থানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। পরে রাউধার বাবা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুন:ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশটি উঠানোও হয়। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।

রাউধা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে পরের দিন রাজশাহীতে আসেন তার বাবা মোহাম্মদ আথিফ মা আমিনাসহ পরিবারের ১১ সদস্য। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা চলে গেলেও মোহাম্মদ আথিফ থেকে যান রাজশাহীতে।

ঢাকা জার্নাল, জুন ৮, ২০১৭।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.