আবার এক সঙ্গে অন্তত-বর্ষা
এপ্রিল ১০, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল:আবার এক সঙ্গে হচ্ছে অন্তত জলিল ও বর্ষা। তবে বৈবাহিক জীবনের নয়, ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’ ছবির দৃশ্যে। তাতেই কম কম কি। চুল ছেঁড়াছিঁড়ি তো আর কম হলনা। তার পরেও ক্যামেরার সামণে দাঁড়িয়ে ভালবাসার অভিনয়।
আগামী ২০শে এপ্রিল থেকে ঢাকায় ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’ ছবির শুটিং করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ছবির নায়ক প্রযোজক ও পরিচালক এম এ জলিল অনন্ত। ছবির আরেক প্রযোজক অনন্য মামুনকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন সব প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য।
এই পর্বের শুটিংয়ের জন্য আবারও একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন সময়ের আলোচিত জুটি অনন্ত-বর্ষা। কিছুদিন হলো বর্ষা ভারত থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। এসেই তিনি নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন। সমপ্রতি ঘটে যাওয়া নাটকীয় ঘটনাগুলোকে ভুল বোঝাবুঝি বলে চিহ্নিত করে অনন্তের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করে অনেকটাই সফল হওয়ার পথে বর্ষা।
এ বিষয়ে অনন্ত আপাতত কিছু না বললেও তিনি আগেই বলেছিলেন, ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’ ছবির নায়িকা বর্ষা। তিনি যদি কাজ করতে চান তাহলে তাকে নিয়েই ছবির কাজ শেষ করবেন।
দেশে ফিরে বর্ষা যখন চুপ থাকছেন, নতুন কোন নাটকের জন্ম দিচ্ছেন না, তাতে বোঝা যাচ্ছে ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’ ছবিতে অভিনয় করার ইচ্ছা তার আছে এবং আগামী ২০শে এপ্রিল থেকে তিনি শুটিংও করছেন। সেই সঙ্গে যদি বর্ষা অনন্তের সংসারে ফিরেও যান তাহলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। কারণ, অনন্ত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বর্ষাকে ডিভোর্স দেয়ার কথা বললেও কোন কাগজপত্র দেখাননি। কোন কাজী অফিসে ডিভোর্স হয়েছে তাও স্পষ্ট করে জানাননি। তখনই এ ডিভোর্সের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেছিলেন অনেকেই। আর যদি ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক তালাক হয়ে থাকে তাহলে সেটা ৯০ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করার সুযোগ থাকে, যাকে তালাকই তওফিজ বলে।
নতুন দিনের সূচনার স্বপ্ন নিয়ে তিনবার সরকার কর্তৃক সিআইপি (কমার্শিয়ালি ইমপর্টেন্ট পারসন) খেতাবপ্রাপ্ত গার্মেন্ট ব্যবসায়ী এম এ জলিল অনন্ত ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে এসেছিলেন নায়িকা হিসেবে বর্ষাকে নিয়েই।
এরপর একসঙ্গে একে একে অভিনয় করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার পরিচালিত ‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’, অনন্য মামুন পরিচালিত ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ এবং নিজের পরিচালিত ‘নিঃস্বার্থ ভালবাসা’ ছবিতে।
এখন করছেন এম এ জলিল অনন্ত ও অনন্য মামুন পরিচালিত ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’ ছবিতে।
আগামীতে করবেন ‘দ্য স্পাই’ (অগ্রযাত্রার মহানায়ক) ছবিতে। অভিনয় করতে করতে অনন্ত-বর্ষা প্রেমে জড়িয়ে পড়েন এবং ঘটা করে বিয়ে করেন।
গত ২৩শে মার্চ সামান্য বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য হলে বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। বর্ষা সবার অজান্তে ভারত চলে গেলে অনন্ত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের ডিভোর্সের কথা জানান। পরবর্তীতে এ বিষয়ে তিনি আর কোন কথা বলেননি। সাংবাদিকরা আশা করেছিলেন ভারত থেকে ফিরে বর্ষা এ বিষয়ে কিছু বলবেন। কিন্তু তিনিও দেশে ফিরে নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন। মুঠোফোন বন্ধ রেখেছেন।
ফলে মিলনের সুর শুনতে পাচ্ছেন ঘনিষ্ঠজনেরা। সব রাগ অভিমান দুঃখ কষ্ট ভুলে অনন্ত-বর্ষা যদি ২০শে এপ্রিল থেকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তাহলে সব নাটকের অবসানের বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে যাবে। চলচ্চিত্র শিল্পের স্বার্থে ঘনিষ্ঠজনেরা এমনটিই চাইছেন বলে জানা গেছে।