রগকাটার মেশিন আমদানী করছে জামাত!
এপ্রিল ৯, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: পুরনো চেহারায় ফিরে যেতে “স্বয়ংক্রিয় রগকাটা” মোশন আমদানী করছে জামায়াত-শিবির। এ মেশিন আমদানী করা হচ্ছে মায়ানমার থেকে। রোহিঙ্গা কানেকশনকে কাজে লাগিয়ে পর্যায়ক্রমে এক লাখ মেশিন আমদানী করবে তারা।
ডিনিউজ জানিয়েছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এ্যাকশনে নামতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির। তাদের এ মিশন সফল করতে সংক্রিয় রগকাটা মেশিন আমদানী করবে তারা।
জামায়াত ও শিবিরের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে অনলাইনটি জানায়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সরাসরি মোকাবেলায় পেরে উঠছে না তাদের কর্মী-সমর্থকেরা। আর এ জন্যই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরোনো আদলে ফিরে যেতে। অর্থাৎ চোরাগোপ্তা হামলা এবং রগ কেটে মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে তারা। বিশেষ করে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিলের পর প্রকাশ্য রাজনীতি বন্ধ হয়ে গেলে তাদের আর অন্য কোন পথ খোলা থাকবে না।
এ অবস্থায় জামায়াতের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে নৃশংস ও ভয়াবহ হামলায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার। সূত্রের দাবি অনুযায়ী এক লাখ শিবির কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে দলটি। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে মায়ানমার থেকে কিছু “স্বয়ংক্রিয় রগকাটা মেশিন” আনা হয়েছে। মেশিন গুলো এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে, যা দুই মিনিটে মানুষের চারটি হাত পায়ের রগ কাটতে সক্ষম। সাধারণত ধারালো ক্ষুর বা চাকু দিয়ে একটি হাত বা পায়ের রগ কাটতে পাঁচ মিনিট সময় লেগে যায়। কিন্তু অত্যাধুনিক এই মেশিন অনেকটা স্বয়ংক্রিয়। কাউকে উপুড় করে শুইয়ে রগের উপর মেশিন রেখে আলতো চাপ দিলে মুহুর্তেই শেষ হয়ে যাবে কাজ।
সূত্রের দাবী অনুযায়ী, মায়ানমারের সীমান্তে বিশেষ ব্যবস্থায় তৈরী করা হচ্ছে এই মেশিন। প্রথম পর্যায়ে এক লাখ মেশিন আসবে বাংলাদেশে। এই মেশিন তুলে দেয়া হবে শিবিরের প্রশিক্ষিত কর্মীদের হাতে।
কবে নাগাদ এই অস্ত্র দেশে ঢুকতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে সূত্রটি জানায়, সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয়ার সাথে সাথেই এ অস্ত্র তুলে দেয়া হবে নেতা-কর্মীদের হাতে।
প্রসঙ্গতঃ ৩ এপ্রিল রাজশাহী মহানগরীর বাকির মোড় এলাকা থেকে জামায়াত ক্যাডারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অত্যাধুনিক রগকাটা মেশিনসহ এক ক্যাডারকে আটক করে র্যাব। জামায়াতের ওই ক্যাডারের নাম জাকির হোসেন সঞ্জু।
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ৯, ২০১৩।