মেয়েকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মায়ের আত্মহত্যা

মে ১৪, ২০১৭

ঢাকা জার্নাল : আড়াই বছরের কন্যা শিশু পবিত্রা সেন মনি বসাককে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মা শ্যামলী বসাক (২৩)। শনিবার (১৩ মে) দুপুরে দিনাজপুর-পঞ্চগড় রেলসড়কের নয়নীবরুজ স্টেশন সংলগ্ন বকুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পঞ্চগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হাসান সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী উত্তরা নামের লোকাল ট্রেনের নিচে শারীরিক প্রতিবন্ধী আড়াই বছরের শিশু কন্যা মনি বসাককে ট্রেনের নিচে ফেলে দেন মা শ্যামলী। এরপর নিজেও ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। স্থানীয়রা এই নির্মম ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেয়।

পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, বছর তিনেক আগে ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া এলাকার প্রদীপ কুমার সঙ্গে শ্যামলী বসাকের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের একমাত্র কন্যা সন্তান মনি বসাক শারীরিক প্রতিবন্ধী। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ শুরু হয় শ্যামলীর। এর এক পর্যায়ে দুই বছর আগে স্বামীর বাড়ি থেকে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বারোআউলিয়া গ্রামের বাবা অরুণ বসাকের বাড়িতে চলে আসেন।  এরপর শ্যামলী বসাক পঞ্চগড় জজ কোর্টে একটি মামলা  দায়ের করেন স্বামীর বিরুদ্ধে।

শ্যামলীর বাবা অরুণ বসাক জানান, বিয়ের কিছুদিন পর স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাসায় ফিরে আসেন শ্যামলী। এখানেই তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরবর্তীতে আর স্বামীর বাড়িতে না গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

শ্যামলীর বাবা আরও জানান, শ্যামলী মাঝে মধ্যে তার নানার বাড়িতেও থাকতেন। শনিবার সকালে মনি বসাককে নিয়ে নানা বাড়ি থেকে পঞ্চগড় প্রতিবন্ধী কল্যাণকেন্দ্রে যান। সেখান থেকে দুপুরে বাবার বাসায় ফেরার পথে বকুলতলা এলাকায় চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মেয়েসহ আত্মহত্যা করেন।

স্থানীয়রা জানান, দাম্পত্য কলহ ও বাবার সঙ্গে অভিমান করেই শিশু কন্যাসহ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন শ্যামলী।

পঞ্চগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হাসান সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, স্বামীর ওপর রাগ করে বা বাবার ওপর অভিমান করেই শ্যামলী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। বিষয়টি জিআরপি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।E

আড়াই বছরের কন্যা শিশু পবিত্রা সেন মনি বসাককে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মা শ্যামলী বসাক (২৩)। শনিবার (১৩ মে) দুপুরে দিনাজপুর-পঞ্চগড় রেলসড়কের নয়নীবরুজ স্টেশন সংলগ্ন বকুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পঞ্চগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হাসান সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী উত্তরা নামের লোকাল ট্রেনের নিচে শারীরিক প্রতিবন্ধী আড়াই বছরের শিশু কন্যা মনি বসাককে ট্রেনের নিচে ফেলে দেন মা শ্যামলী। এরপর নিজেও ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। স্থানীয়রা এই নির্মম ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেয়।

পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, বছর তিনেক আগে ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া এলাকার প্রদীপ কুমার সঙ্গে শ্যামলী বসাকের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের একমাত্র কন্যা সন্তান মনি বসাক শারীরিক প্রতিবন্ধী। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ শুরু হয় শ্যামলীর। এর এক পর্যায়ে দুই বছর আগে স্বামীর বাড়ি থেকে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বারোআউলিয়া গ্রামের বাবা অরুণ বসাকের বাড়িতে চলে আসেন।  এরপর শ্যামলী বসাক পঞ্চগড় জজ কোর্টে একটি মামলা  দায়ের করেন স্বামীর বিরুদ্ধে।

শ্যামলীর বাবা অরুণ বসাক জানান, বিয়ের কিছুদিন পর স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাসায় ফিরে আসেন শ্যামলী। এখানেই তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরবর্তীতে আর স্বামীর বাড়িতে না গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

শ্যামলীর বাবা আরও জানান, শ্যামলী মাঝে মধ্যে তার নানার বাড়িতেও থাকতেন। শনিবার সকালে মনি বসাককে নিয়ে নানা বাড়ি থেকে পঞ্চগড় প্রতিবন্ধী কল্যাণকেন্দ্রে যান। সেখান থেকে দুপুরে বাবার বাসায় ফেরার পথে বকুলতলা এলাকায় চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মেয়েসহ আত্মহত্যা করেন।

স্থানীয়রা জানান, দাম্পত্য কলহ ও বাবার সঙ্গে অভিমান করেই শিশু কন্যাসহ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন শ্যামলী।

পঞ্চগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হাসান সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, স্বামীর ওপর রাগ করে বা বাবার ওপর অভিমান করেই শ্যামলী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। বিষয়টি জিআরপি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

ঢাকা জার্নাল, মে ১৩, ২০১৭।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.