‘হাসিনাকে ব্লাশফেমি আইন করতে বাধ্য করা হবে’

এপ্রিল ৯, ২০১৩

b3f446e28f18ef8d7f240fde5479c635ঢাকা জার্নাল: হেফাজতে  ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি  ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী দাবি করেছেন, ‘বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকতে হলে এবং ক্ষমতায় যেতে হলে অবশ্যই ব্লাশফেমি আইন প্রণয়ন করতে হবে। ব্লাশফেমি আইন ছাড়া এ সরকারের ক্ষমতায় থাকা যাবে  না এবং ক্ষমতায় আসাও যাবে না।’

মঙ্গলবার বিকেলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ব্লাশফেমি ‍আইন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী দেশে ব্লাশফেমি আইন চালু করা হবে না বলে জানান।

১৮ দলীয় জোটের শরীক নেজামে ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ আইন প্রণয়ন করতে হবে। আইন করেই প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। প্রয়োজনে তাকে আইন প্রণয়নে বাধ্য করা হবে।’

নারী নীতিতে কোরআন-সুন্নাহের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব ধারা-উপধারা বাতিলের দাবি জানান হেফাজতে ইসলামের এ শীর্ষ নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি শাহবাগের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদগার করে তিনি বলেন,‘সেখানে নারীরা পরপুরুষদের হাত ধরে স্লোগান দেয় আর নাচানাচি করেন। যা শালীনতা বিবর্জিত।

হেফাজতে ইসলামের ডাকা সোমবারের হরতাল ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা বর্ণনা তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

লিখিত বক্তব্যে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন,‘আমাদের শান্তিপূর্ণ হরতালে চট্টগ্রামমের লালখান বাজার, পটিয়া, আনোয়ার, ফটিকছড়িসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারদলীয় ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা করে। এতে আমাদের প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর।’

হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

গত ৬ এপ্রিল নগরীর ওয়াসা মোড়ে হেফাজতে ইসলামের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সংবাদকর্মীদের উপর হামলার ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তবে তিনি হামলার জন্য অবস্থান কর্মসূচিতে অনুপ্রবেশকারীদের দায়ী করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর হাফেজ তাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মইনুদ্দিন রুহী, সাহিত্য ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মুফতি হারুণ ইজাহার, হাফেজ মোহাম্মদ ফয়সালসহ আরো অনেকে ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.