সাংবাদিক ওমর ফারুকের দাফন সম্পন্ন

মে ১, ২০১৭

ঢাকা জার্নাল : বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি ওমর ফারুকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার আসরের নামাজের পর ৩য় জানাজা শেষে রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। রবিবার (৩০ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৩টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি …রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫১ বছর।

এর আগে রবিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’তে (ডিআরইউ) ওমর ফারুকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার কর্মস্থল বাংলা ট্রিবিউনে ২য় জানাজা এবং বাদ আসর মীর হাজীর বাগ খালপাড় জামে মসজিদে সর্বশেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

ওমর ফারুক ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য ছিলেন। বেলা দেড়টায় ওমর ফারুকের মরদেহ তার দীর্ঘদিনের বিচরণস্থল ডিআরইউ চত্বরে এসে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে বহু সহকর্মী কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানাজার আগে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন ডিআরইউ’র সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানীর সঞ্চলনায় এ সময় প্রয়াত ওমর ফারুকের স্মৃতিচারণ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ওমর ফারুকের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুজ্জামান বাবুল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের মহাসচিব ওমর ফারুক, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজের একাংশ) সভাপতি শাবান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিইউজের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব নিউজ হারুন-উর-রশিদ প্রমুখ।

জানাজার পর মরহুমের প্রতি ডিআরইউর  পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি সাখাওয়াত বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানীর নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময়  ডিআরইউ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

ওমর ফারুক দৈনিক সমাচার, দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক যুগান্তর ও বাংলা ট্রিবিউনে কাজ করেছেন। তিনি স্ত্রী সানজিদা শওকত, দুই কন্যা ফারিহা ওমর ইরা ও দীপিকা ওমর দিয়া, পাঁচ ভাই, চার বোন, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন ।

ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ৩০, ২০১৭।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.