ডাক্তার এখন ফেসবুকে

মার্চ ২৯, ২০১৭

ঢাকা জার্নাল : অনেকে হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ সময় ব্যয় করেও ডাক্তারের দেখা পান না। গ্রামাঞ্চলে এই চিত্রটা আরও ভয়াবহ। সেখানে স্বীকৃত ডাক্তারের সংখ্যা অনেক কম। ফলে চিকিৎসা সেবা নিতে অনেক ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়। তবে এখন থেকে এতো ঝামেলা পোহাতে হবে না। ডক্টরোলা নামের একটি প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করিয়ে দেয়। পাশাপাশি ফেসবুক এবং ব্লগের মাধ্যমেও বিভিন্ন রোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকে তারা।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে। বাংলাপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশের বসবাস শহরাঞ্চলে। সঠিক হিসেবে ৩.৫ শতাংশের কিছু বেশি। বাকিদের সবারই গ্রামে বসবাস। গ্রামাঞ্চলের এই বিশাল জনসংখ্যা নানা দিক দিয়ে এখনও শহরের মানুষদের চেয়ে পিছিয়ে আছে। বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় সেবাও তারা সঠিক সময়ে পায় না। এর মধ্যে চিকিৎসা সেবা অন্যতম।
সরকার অবশ্য বিশাল এ জনসংখ্যাকে উপযুক্ত চিকিৎসা সেবার আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি কাজ করছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ডক্টরোলা। প্রতিষ্ঠানটি মানুষের সঙ্গে স্থানীয় স্বীকৃত ডাক্তারদের পরিচয় করিয়ে দেয়। কাজটি তারা অনলাইনে করে থাকে। ফলে এতে বাড়তি কোনও ঝামেলা নেই।
যারা যেকোনও সময় চাইলে ডাক্তার পান না, তারা ডক্টরোলা ব্লগ (blog.doctorola.com) কিংবা এর ফেসবুক পেজের (www.facebook.com/doctorolafans) সহায়তা নিতে পারেন। প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজ থেকে রোগীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয় সবসময়। নিজের সমস্যার কথা জানালে ডক্টরোলায় নিযুক্ত ডাক্তার আপনাকে দেবে পরামর্শ।
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ব্লগে প্রতিদিন দু’টি করে বিভিন্ন রোগ নিয়ে আলোচনা প্রকাশিত হয়। এটা অনুসরণ করে অনেকেই তাদের সমস্যার সমাধান পেয়ে যেতে পারেন। তাছাড়া প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন রোগ ও সমাধান নিয়ে আয়োজন করা হয় ফেসবুক লাইভের যেখানে প্রচুর মানুষ কমেন্ট বা ফোন কলের মাধ্যমে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ পেয়ে থাকেন। গ্রাহকরা বিশেষ কোনও খরচ ছাড়াই শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে এসব সুবিধা পাবেন।

এ সম্পর্কে ডক্টরোলার প্রতিষ্ঠাতা মো. আবদুল মতিন ইমন বলেন, আমরা চাই একজন মানুষও যেন চিকিৎসা সেবার বাইরে না থাকে। সে লক্ষ্যেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমরা সব মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ২৯, ২০১৭।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.