বৃহস্পতিবার শিবিরের হরতাল
এপ্রিল ৯, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: আগামী বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শিবির সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার এ হরতালের ঘোষণা দেন।
এ ঘোষণার পর বিরোধী দলগুলোর চলতি দফার হরতাল গড়ালো টানা চতুর্থ দিনে।
এর আগে সোমবার হরতাল পালন করে হেফাজতে ইসলাম। এরপর মঙ্গলবার ভোর থেকে ১৮ দলীয় জোটর টানা ৩৬ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়।
মঙ্গলবার সাহিত্য সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শিবির সেক্রেটারি বলেন, “গত ৩১ মার্চ গ্রেফতারের পর থেকে কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেনকে নির্যাতন করা হচ্ছে। দু’টি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।”
শিবির সেক্রেটারির অভিযোগ, তাদের সভাপতিতে মোহাম্মদপুর থানার দায়ের করা মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। কিন্তু মোহাম্মদপুর থানায় নয়, তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “সভাপতির মা সোমবার মোহাম্মদপুর থানা ও ডিবিতে খোঁজ নিলে তারা বলেছে- সে আমাদের কাছে নেই। তাই অবিলম্বে তার সন্ধান, নির্যাতন বন্ধ ও মুক্তি দিতে হবে। না হয় আবারো হরতাল দেওয়া হবে।”
সরকারকে হুঁসিয়ার করে শিবির সেক্রেটারি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের প্রবল চাপ থাকার পরও কেন্দ্রীয় সভাপতিকে গ্রেফতার ও গ্রেফতারের পর নির্যাতনের ঘটনায় কর্মসূচি ঘোষণার ক্ষেত্রে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। অবিলম্বে তার সন্ধান ও মুক্তি না দিলে ছাত্রশিবির লাগাতার হরতালের কর্মসূচি দেবে।
তিনি আরো বলেন, “শিবির কর্মীরা রাজপথে সরব থেকে এই হরতালকে সর্বাত্মক সফল করে সভাপতির গ্রেফতার ও নির্যাতনের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।”
তবে তার দাবি, বৃহস্পতিবারের হরতাল হবে সম্পূর্ণ শান্তিপুর্ণ। কিন্তু সরকার যদি বাধা দেয়, তাহলে উদ্ভূত যে কোন পরিস্থিতির দায় সরকারের উপরই বর্তাবে।
উল্লেখ, সম্প্রতি শ্যামলীর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর ২ এপ্রিল মঙ্গলবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় শিবির। তার আগে সারাদেশে ব্যাপক ভাংচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ৯, ২০১৩