‘পুরুষের সমস্যা পুরুষত্বহীনতা’

এপ্রিল ১০, ২০১৩

মিলনের উপর ভিত্তি করে স্বামী-স্ত্রীর প্রেমের বন্ধন গড়ে ওঠে। মনোবিজ্ঞানীর চোখে নর-নারীর মিলনের যথেষ্ট imagesমূল্য রয়েছে। মিলন ছাড়া নারী-পুরুষের দাম্পত্য জীবন কখনই গড়ে উঠতে পারে না। রতি-মিলনের বন্ধনই পুরুষ ও নারীকে সংসার জীবনে আবদ্ধ করে রাখে। মিলনের গরমিল বিবাহ বিচ্ছেদের পথ খুলে দেয়।

অধ্যাপক ডাঃ এএইচ মোহাম্মদ ফিরোজ
এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি

‘পাশাপাশি ও উপর আসন’ 

মিলনের উপর ভিত্তি করে স্বামী-স্ত্রীর প্রেমের বন্ধন গড়ে ওঠে। মনোবিজ্ঞানীর চোখে নর-নারীর মিলনের যথেষ্ট মূল্য রয়েছে। মিলন ছাড়া নারী-পুরুষের দাম্পত্য জীবন কখনই গড়ে উঠতে পারে না। রতি-মিলনের বন্ধনই পুরুষ ও নারীকে সংসার জীবনে আবদ্ধ করে রাখে। মিলনের গরমিল বিবাহ বিচ্ছেদের পথ খুলে দেয়।

স্বার্থক দাম্পত্য জীবনের পেছনে রয়েছে স্বার্থক রতি সুখের, রতি তৃপ্তির ছোঁয়া। দাম্পত্য জীবনে সঙ্গতি থাকবে না যদি স্বামী-স্ত্রীর যৌন জীবনে কোনো অসঙ্গতি থাকে। দাম্পত্য জীবনে অকৃত্রিম ও অনাবিল সুখ পাওয়ার জন্য পুরুষকে বিজ্ঞান সমমত কামকলার সাধারণ জ্ঞান আয়ত্ত করতে হবে। কামকলায় রয়েছে বিভিন্ন আসন। এ আসন বৈচিত্র্যতা যৌনতায় তৃপ্তি আনে। যৌনতাকে উপভোগ্য করে তোলে। দৈহিক মিলন বা রতি ক্রিয়ার বিভিন্ন আসনের গুরুত্ব অপরিসীম।

2808121346189355Untitled-2বিভিন্ন দম্পতিরা বিভিন্ন আসনে অভ্যস্ত থাকে। তবে একথা সত্যি যে যৌনমিলনের আসন উৎকর্ষতা দান করে। যৌনমিলনে বা রতি ক্রিয়ায় অনেক তৃপ্তি আনন্দ লাভ করা যায় মিলনের আসন পরিবর্তনের মাধ্যমে। তত্ত্ব মতে, যৌন ক্রিয়ার নানা আসন রয়েছে যা অসংখ্য। তবে শারীরিক সন্তুষ্টির জন্য সর্বত্রই স্বীকৃত ও বিজ্ঞান সমমত আসন রয়েছে প্রায় অর্ধডজন। পাশ্চাত্যে ওরাল সেক্স রয়েছে যা আমাদের দেশে অপ্রচলিত। ওরাল সেক্সে পুরুষ ও নারী উভয়ে উভয়ের যৌনাঙ্গে মুখের কিংবা জিহ্বার দ্বারা যৌন উত্তেজনাকে চূড়ান্ত স্টেজে নিয়ে যায়। আমাদের দেশের জন্য এই আসনটি অপ্রচলিত একটি আসন। হোমোসেক্সুয়ালে এবং লেসবিয়ানে কোনো বিশেষ আসন নেই। কেননা ধর্ম এবং বিজ্ঞান এ ধরনের দৈহিক মিলন বা যৌনমিলনকে সাপোর্ট করে না।

পাশ্চাত্যে খ্রীষ্টান মিশনারিদের নামানুযায়ী মিশনারী আসন নামে একটি আসন রয়েছে। পুরুষ ও নারীর ওপর নির্ভর করে যে তারা কোন আসনে বেশি তৃপ্ত।

স্বামী-স্ত্রী পাশাপাশি মুখোমুখি শুয়ে কামকলায় মিলিত হতে পারেন। এতে পুরোপুরি লিঙ্গ প্রবশের সবচেয়ে বেশি সুযোগ থাকে। কিন্তু দু‘জনে মুখোমুখি থাকায় স্ত্রীকে-

  • চুম্বন
  • লেহন
  • বুকে মুখে ও পাছায় এবং পিঠে হাত বুলিয়ে স্ত্রীকে অনেক বেশি যৌন সুখ দেয়া যায়।

স্ত্রীও এ ভঙ্গীতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় বা এ্যাকটিভ হয়ে নিজের ইচ্ছামত রতিক্রিয়া করতে পারেন। মাঝে মাঝে ক্লান্তবোধ হলে স্বামীর বুকে শুয়ে বিশ্রাম নেয়ারও সুবিধা রয়েছে।

অধিকাংশ স্বামীই স্ত্রীকে তার বুকের উপরে তুলে আদর সোহাগ করতে ভালোবাসেন-

  • পাশাপাশি মুখোমুখি শুয়ে যৌনমিলনে স্ত্রী যদি স্বামীর ডান পাশে থাকেন, তবে স্বামী-স্ত্রীর শরীরের দিকে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে গেলে
  • তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে স্ত্রীর স্তনে, গলায়, কাঁধে, ঘাড়ে এমনকি ভগাঙ্কুরে হাতের মৃদু সপর্শ দিয়ে বহুক্ষণ আদর করতে পারেন।
  • স্বামী অস্বাভাবিক স্থুল দেহ হলে এই ভঙ্গী তাদের পক্ষে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হবে।
  • কারণ এতে পুরুষ দেহ স্ত্রীর পরে কোনো অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি করে না।
  • এছাড়াও যাদের লিঙ্গ ছোট বলে মনে ভয় পোষণ করেন তারা এই ভঙ্গীতে যৌনমিলন করে, নিজেদের ভয় থেকে মুক্ত হতে পারেন অনায়াসেই।
  • আবার যাদের পুরুষাঙ্গ উত্তেজনার সময় সাত ইঞ্চির বড় হয় তাদের স্ত্রীরা এই ভঙ্গীতে মাঝে মাঝে যন্ত্রণা অনুভব করতে পারেন।
  • তবে লিঙ্গ অস্বাভাবিক জোরের সঙ্গে প্রবেশ না করালে কোনো রকম ব্যথা লাগার কথা নয়
  • এ ভঙ্গীতে নারী যথেষ্ট সুখ পায় না
  • কারণ নারীর যৌনাঙ্গের সম্ভোগ পুরোপুরি পুরুষের যৌনাঙ্গে গুলিতে মিলিত হয়ে স্পর্শজাত উত্তেজনা খুব একটা সৃষ্টি করতে পারে না
  • তবে এ অভাব পুরুষ তার নিজের হাতের সাহায্যে পুরণ করতে পারেন
  • যৌনমিলনের ফাঁকে ভগাঙ্কুর, যোনিলোম এবং যোনি আবরক পর্দায় হাত দ্বারা সপর্শ ও মৃদু ঘর্ষণ করলে স্ত্রীর যৌন উত্তেজনা ক্রমেই চরমে উঠতে থাকবে।
  • আবার নারীও এ ভঙ্গীতে কিছুটা সক্রিয় হবার সুযোগ পায়
  • এ ভঙ্গীতে সবচেয়ে বেশি সময় যৌনমিলন করা যায়
  • এ ভঙ্গীতে দু’জনার কেউই অত্যধিক ক্লান্ত হয়ে পড়ে না
  • যৌনমিলনের আরেকটি আসন প্র্যাকটিস করা যায়। যেমন-স্ত্রী স্বামীর ওপরে উঠে যৌনমিলন করবেন।
  • এ আসনে স্বামী চিৎ হয়ে শুয়ে থাকবেন
  • পা দুটো একটু ছড়ানো থাকবে
  • স্ত্রী স্বামীর উপরে উঠে নিজের হাতে স্বামীর লিঙ্গ নিজ যোনিতে প্রবেশ করিয়ে নিয়ে বসে বসে যৌনমিলন করতে পারেন
  • এ ভঙ্গীতে স্ত্রী সম্পূর্ণ সক্রিয় ও স্বাধীন অনুভব করেন
  • মাঝে মাঝে মুখ নিচু করে স্বামীকে চুম্বন করতে পারেন বা স্বামীর গভীর চুম্বন গ্রহণ করতে পারেন
  • যেসব রমণী যৌনতৃপ্তি লাভ করেন না
  • তারা এ ভঙ্গীতে বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারেন
  • স্ত্রী এ ভঙ্গীতে নিজের ইচ্ছামত ঘুরে ফিরে স্বামীর দিকে পেছন বা পাশ ফিরে বসে যৌনমিলন করতে পারেন
  • এবং যোনির বিভিন্ন স্থানে লিঙ্গের উত্তেজিত স্পর্শ নিতে পারেন

‘পুরুষের সমস্যা পুরুষত্বহীনতা’

অধিকাংশ পুরুষের পুরুষত্বহীনতা সাময়িক। দেখা যায় যে খুব বেশি মাত্রায় উদ্বিগ্ন থাকলে বা কোনো কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকলে যৌনমিলনের সময় পুরুষ তার যৌন উত্তেজনা হারাতে পারে।

  • খুব বেশি মাত্রায় মদ সেবনের ফলে পুরুষাঙ্গের দৃঢ়তা নষ্ট হয়ে যায়
  • সাইকোজেনিক অথবা অর্গানিক নানা কারণে পুরুষের পুরুষত্বহীনতার সৃষ্টি হতে পারে
  • মনোদৈহিক যেসব কারণে পুরুষত্বহীনতা হতে পারে সেগুলো হল
  • পিতা বা মাতার কঠিন অনুশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকা
  • দাম্পত্য সমস্যা
  • পূর্বের যৌন অক্ষমতার জন্য পাপবোধ
  • যৌনতার ব্যাপারে অনাগ্রহ
  • অকাল বীর্যপাত
  • যৌনমিলনে সফলতা আসবে কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তা
  • বড় হাইড্রোসেল
  • টেস্টিকুলার ফাইব্রোসিস
  • মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন
  • এনজিনা
  • ডায়াবেটিস
  • স্থূলতা
  • এক্রোমেগালি
  • থাইরোটক্সিকোসিস
  • ইনফ্যান্টালিজম
  • ক্যাসট্রেশন
  • প্রোসটাটেকটমি
  • ফাইমোসিস
  • ইউরেথ্রাইটিস
  • প্রিয়াপিজম
  • প্রোসটাটিটিস
  • অপুষ্টি
  • সপাইনাল কর্ডের আঘাত
  • মাল্টিপোল সিরোসিস
  • পারকিনসন্স ডিজিজ
  • টেমপোরাল লবের সমস্যা
  • মাম্পস
  • টিউবার কিলোসিস
  • গনোরিয়া
  • স্নায়ু শিথিলকারী ওষুধ
  • এন্টিহাইপার টেনসিভ ড্রাগ
  • এ্যালকোহল সেবন
  • ইমিপ্রামিন সেবন
  • রেজারপাইন সেবন

ল্যাবরেটরিতে ডাক্তার রোগীর বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকবেন-এতে করে দ্রুত সমস্যা নির্ণয় করা সহজ হয়

ল্যাবরেটরিতে পুরুষত্বহীনতার জন্য বিভিন্ন টেস্ট করানো হয় এগুলো হল-

  • মূত্র পরীক্ষা
  • থুথু পরীক্ষা
  • বীর্য পরীক্ষা
  • রক্তের সিবিসি পরীক্ষা
  • এসএম এ-১২ পরীক্ষা
  • প্রোল্যাকটিন স্তর পরীক্ষা
  • টেস্টোস্টেরণ স্তর পরীক্ষা
  • যে কোনো ধরনের পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসার জন্য তার রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজন হয়-
  • ডাক্তারকে জানতে হয় পুরুষের ক্রমাগত যৌন সমস্যা কেন সৃষ্টি হচ্ছে
  • অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মনোদৈহিক কারণের চাপ শরীরের ওপর এসে পড়ে এবং
  • এই জন্য পুরুষ উত্থান সমস্যায় ভোগে
  • রোগ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারকে যে বিভিন্ন বিষয় জানতে হয়, এগুলো হল-
  • রোগীর ব্যক্তিগত ইতিহাস
  • রোগীর পারিবারিক ইতিহাস
  • রোগীর লিঙ্গ পরীক্ষা
  • রোগীর শারীরিক পরীক্ষা
  • মিনেন সোটা মাল্টিফেজিক পারসোনালিটি ইনভেনটোরি পরীক্ষা

রোগীর পারিবারিক ডাক্তারী ইতিহাস এবং রোগীর ব্যক্তিগত ডাক্তারী ইতিহাস জানা এজন্য জরুরি যে, এতে করে রোগ নির্ণয় করা সুবিধা হয়

  • ডাক্তার বুঝতে পারেন পুরুষত্বহীনতার এ সমস্যাটির কারণ শারীরিক না মানসিক
  • অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মদ সেবনজনিত কারণে পুরুষের পুরুষত্বহীনতা দেখা দেয় এবং
  • এটি স্থায়ী সমস্যার সৃষ্টি করে
  • অনেকে আবার যৌনতার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলে এবং
  • অনেকের অকাল বীর্যপাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে

রোগীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে প্রধান বিবেচ্য বিষয় থাকে তার রেসপিরেটরি এবং  কার্ডিওভাসকুলার ঠিকমত কাজ করছে কিনা তা লক্ষ্য করা

 এছাড়াও স্নায়ু ব্যবস্থা কতটুকু সুস্থ আছে তা জানা

 

‘পুরুষত্বহীনতা, স্তন এবং বয়স্কের যৌনতা’

পুরুষত্বহীনতা বলতে পুরুষের অপারগতাকে বোঝায় যৌনমিলনের সময়। পুরুষত্বহীনতা পুরুষের যৌনাঙ্গ উত্থান সংক্রান্ত শারীরিক রোগ বিশেষ।

  • অধিকাংশ পুরুষের জীবনেই পুরুষত্বহীনতা একটা বিশেষ ভূমিকা রাখে
  • মস্তিষ্কের ইচ্ছাশক্তি পুরুষকে যৌন উত্তেজিত করে তোলে
  • দেখা যায় ইচ্ছা শক্তির পূর্ণতা থাকা সত্ত্বেও অনেক পুরুষের পুরুষাঙ্গ উত্থিত হয় না
  • ডাক্তারী ভাষায় একে বলা হয় পুরুষত্বহীনতা

এটি যদি পুরুষের জীবনে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে, তবে অভিজ্ঞ ইউরোলজিস্ট ও মনোবিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন

 চিকিৎসার মাধ্যমে পুরুষত্বহীনতার সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

পুরুষ এবং নারী উভয়েরই স্তন রয়েছে। নারীদের স্তনে দুধ তৈরি হয়, একে দুধ তৈরির গ্ল্যান্ডও বলা হয়।

  • নারীর স্তনবৃন্ত বা বোঁটার মধ্যে ছিদ্র থাকে যার ফলে স্তন থেকে দুধ বাইরে বেরিয়ে আসে।
  • স্তনে কিছু ফ্যাটি টিস্যু থাকে যার মাধ্যমে নারীদের স্তনে অধিক মাংস জমা হয়
  • এবং এটি উঁচু হয়ে থাকে
  • নারীদের স্তন অবশ্য একেকজনের একেক রকম হয়ে থাকে
  • নারীর স্তন খুবই যৌনস্পর্শকাতর
  • স্তনবৃন্ত বা বোঁটা খুবই স্পর্শকাতর ও উত্তেজক হয়ে থাকে
  • নারীদের স্তনের রঙও একেক জনের একেক রকম হতে পারে
  • নারীর স্তনের তিনটি প্রধান কাজ হল-
  • শিশুর জন্য দুধের সরবরাহ করা
  • যৌন উত্তেজনার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করা
  • নারীর দেহের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়া
  • নারীর স্তন যৌনমিলনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে
  • উত্তেজনার সময় নারীর স্তনে রক্তের সরবরাহ হতে থাকে
  • এবং স্তনবৃন্ত বা বোঁটা শক্ত হয়ে যেতে থাকে
  • পুরুষের সপর্শকাতর চাপ
  • কামড়/দংশন
  • এবং আদরে এটি যৌন উত্তেজনার তুঙ্গে উঠে যায়
  • নারীর স্তনের আকারের ওপর নারীর যৌন আকাঙ্ক্ষার পরিমাণ করা যায়
  • সাধারণত অধিক ছোট স্তনের নারীদের যৌনতৃষ্ণা অনেকটা ম্রিয়মাণ থাকে
  • তবে অনেক ক্ষেত্রে এর বিপরীতও হতে পারে

এন্ডোক্রাইন গ্ল্যান্ডে প্রস্তুত হওয়া পদার্থকে বলা হয় হরমোন। হরমোন শরীর ও মনের বিভিন্ন কাজে ভূমিকা রাখে।

  • যৌন হরমোন শরীরের যৌন গ্ল্যান্ডগুলোতে তৈরি হয়
  • নারীদের ওভারি বা ডিম্বাশয়
  • এবং পুরুষদের টেস্টিক্যালস বা অন্ডকোষে যৌন হরমোন তৈরি হয়
  • প্রধান দুটো হরমোন হল-
  • এস্ট্রোজেন এবং এন্ডোজেন বা টেস্টোস্টেরন
  • অধিকাংশ পুরুষ দিনে ৬-৮ গ্রাম টেস্টোস্টেরন বা এন্ডোজেন তৈরি করতে পারে
  • অন্যদিকে নারী ০.৫ মিলিগ্রাম এস্ট্রোজেন তৈরি করতে পারে
  • এস্ট্রোজেন হরমোনের দ্বারাই নারীর শারীরবৃত্তি প্রথম সম্ভব হয়
  • নারীর দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এস্ট্রোজেনের প্রভাবেই সুদৃঢ় হয়
  • এস্ট্রোজেন নারীর মাসিকচক্রকেও সুসংগঠিত করে ও নিয়মিত করে
  • নারীর স্তন ও জরায়ুকে সুসংহত করতে এস্ট্রোজেন প্রধান ভূমিকা রাখে
  • পুরুষের অন্ডোকোষে যে হরমোন তৈরি হয় সেটি হল এন্ডোজেন
  • এর মাধ্যমে পুরুষ তার যৌন ক্ষমতা পায়
  • এটি পুরুষের দেহের পেশিকে শক্তিশালী করে
  • এবং দেহের বিভিন্ন স্থানে চুল গজাতে সাহায্য করে
  • এটা বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য যে হরমোনের ওপর নারী এবং পুরুষের যৌনাবস্থা সম্পূর্ণই নির্ভরশীল।
  • নারী এবং পুরুষ তাদের যৌন হরমোনের প্রভাবের দ্বারাই যৌনমিলন ঘটায় এবং যৌন জীবন যাপন করতে পারে

নগ্নতার অপর নাম পর্নোগ্রাফি। ছবি, পত্র পত্রিকা কিংবা নগ্নতা সমৃদ্ধ পুস্তিকার নাম পর্নোগ্রাফি। নগ্নতা ছাড়া পর্নোগ্রাফি সম্ভব নয়।

  • গ্রীক শব্দ পর্নিয়া থেকে পর্নোগ্রাফি শব্দের উদ্ভব
  • পর্নিয়া অর্থ পতিতা
  • এর অর্থ পতিতা এবং তার জীবন সম্পর্কিত কাহিনী
  • পাশ্চাত্যে পর্নোগ্রাফির জোয়ার খুব বেশি
  • তবে যৌনতার অবাধ আচরণের জন্য পর্নোগ্রাফি সেখানে খুব একটা আলোচনায় আসে না
  • আমাদের দেশে আইন করে এটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে
  • কারণ এর মাধ্যমে যৌন অপরাধসমূহ বৃদ্ধি পায়
  • পাশ্চাত্যে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ১৪-৬০ বছরের নারী
  • এবং ৩৬-৭৭ বছরের পুরুষরা বেশি মাত্রায় যৌনতা সমৃদ্ধ পর্নোগ্রাফি দেখতে অভ্যস্ত
  • কোনো কোনো সময় এটি দম্পতিদের যৌন উত্তেজনাকে ভিন্ন মাত্রায় উপস্থাপিত করে
  • অনেক দম্পতি যৌনমিলনে যাবার পূর্বে পর্নোগ্রাফিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।

বয়সের যৌনতা একটা জটিল বিষয়। দীর্ঘ আলোচনাতে এটি একটি স্বতন্ত্র বড় মাপের প্রবন্ধ হতে পারে।

  • পাশ্চাত্যে ব্যাপক আকারে এটি আলোচিত হতে দেখা যায় যে, বয়স ও যৌনতার স্বরূপ কি
  • কত বয়স পর্যন্ত একজন পুরুষ কিংবা একজন নারী যৌনমিলনে সমর্থ থাকে, ব্যাপারটি খুবই জরুরি
  • বিজ্ঞান মনে করে যে, ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত একজন পুরুষ শারীরিকভাবে যৌনমিলনের জন্য সক্ষম থাকে
  • তার এ শারীরিক ও মানসিক উৎকর্ষতার জন্য ভালো খাদ্যাভ্যাস এবং সঠিক কাজ কর্মের ব্যাপারটি জড়িত
  • গবেষণায় জানা গেছে যে, যৌনতার ব্যাপারটি বয়সের ওপর তেমন একটা নির্ভর করে না
  • ইচ্ছাশক্তি হল যৌনতার প্রধান শক্তি
  • এবং অনেক মধ্যবয়সী পুরুষকেও যৌনতার ব্যাপারে আগ্রহী দেখা যায়
  • আবার অনেক বৃদ্ধকে যৌনতার ব্যাপারে উৎসাহী ও পারদর্শী হতে দেখা যায়
  • মূলত যৌনমিলনের ব্যাপারে দম্পতিরা যদি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত উৎসাহী থাকেন তবে দীর্ঘকাল যৌনমিলন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব
  • আমাদের দেশের আবহাওয়া এবং রুচিবোধের কারণে পঞ্চাশ বছরের পর অনেকেই যৌনতার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন
  • মেনস্ট্রুয়াল ফাংশন বন্ধ হয়ে যাবার পরও অনেক বয়স্ক নারীকে যৌন উদ্দীপ্ত দেখা যায়
  • আসলে বয়সের ওপর যৌনতার তেমন একটা প্রভাব নেই
  • শারীরিক সক্ষমতা এবং ইচ্ছা শক্তি অটুট থাকলে দীর্ঘ জীবন যৌনমিলন চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব কিছু নয়।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.