জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে : অর্থমন্ত্রী

নভেম্বর ১৭, ২০১৬

oil1ঢাকা জার্নাল: জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে ঢাকা সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

আইএমএফের মিশন প্রধান ব্রায়ান অ্যাটকেন এ ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে ইতিমধ্যে বেশকিছু আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি কোঅর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকে বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা মনে করি, আমাদের অর্থনীতিতে যে গতি সঞ্চার হয়েছে তার পেছনে জ্বালানি তেলের অবদান অনেক বেশি। এ মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হলে সেটা অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে।’

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করার বিষয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকেও একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। এ দুটি প্রতিবেদন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

অর্থমন্ত্রী জানান, জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে দেশের সার্বিক অর্থনীতির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে হবে। তার আগে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এ মন্ত্রণালয়টি প্রধানমন্ত্রী নিজে দেখেন। বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম যে পর্যায়ে আছে তা আরো কিছুটা কমালে দেশের অর্থনীতির গতি আরো বেগবান হবে।

জ্বালানি তেলের দাম কমালে বিদ্যুতের দাম কমবে কি না? এ প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বর্তমান পর্যায়ে থাকলে বিদ্যুতের দাম বাড়ত। যেহেতু জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করার চিন্তা করছি, তখন এর প্রভাব তো অন্যান্য খাতে কিছুটা পড়বেই। বিশেষ করে, পরিবহন ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। সমন্বয় করা হলে দাম কিছুটা কমবেই। তবে কতটা কমবে সেটা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে।’

ভর্তুকির কারণে জ্বালানি তেলে যে লোকসান হচ্ছিল তা কাটিয়ে ওঠা গেছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, সব লোকসান কাটিয়ে ওঠা গেছে। এমনকি সরকার যে অর্থ পেত সেটাও কাভার হয়ে গেছে। জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে সরকার তো সবসময়ই অর্থ যোগান দিয়ে আসছে। বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছে। এতে সরকারকে বিপুল অর্থ যোগান দিতে হয়।’

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম না কমলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের ছিল কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হয়তো হতো। কারণ, এখন তো আর সস্তায় জলবিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। জলবিদ্যুতের চেয়ে কয়লা, গ্যাস এবং জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুতের দাম বেশি।’

সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) নিয়ে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কিনা, তা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘না। তাদের সঙ্গে এ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে বর্তমানে এফডিআইর প্রবাহ খুবই ভালো। ঢাকা থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত রেললাইন তৈরির জন্য একটি বৃটিশ ফার্ম যে প্রস্তাব দিয়েছে সেটা অনেক বড় বিনিয়োগ প্রস্তাব। এ ধরনের বেশকিছু বিনিয়োগ প্রস্তাব এখন সরকারের কাছে আছে। আশা করছি, এটা আরো বাড়বে।’

ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ১৭, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.