মোনায়েম খানের জায়গা দখল করতে পারবে সরকার

নভেম্বর ১৬, ২০১৬

dhakaঢাকা জার্নাল: পাকিস্তানের প্রাক্তন গভর্নর মোনায়েম খানের পরিবারের দখলে থাকা সিটি করপোরেশনের জায়গা উদ্ধার করতে পারবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে উচ্ছেদ কার্যক্রমের পরিচালনার সময় সংযোগ বিছিন্ন হওয়ায় মোনায়েম খানের পরিবারকে তিন দিনের মধ্যে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উচ্ছেদ কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা তুলে নিয়ে বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর মোনায়েম খানের পরিবারকে কোন ক্ষমতাবলে পাঁচ বিঘা ১৫ ছটাকের প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে  মোনায়েম খানের বাড়ির রাস্তার পাশে সবুজায়নের জন্য বরাদ্দকৃত ৫০ ফিট বাই ২০০ ফিট জায়গা রাজউক ও সিটি করপোরেশনের যৌথ জরিপের মাধ্যমে চিহিৃত করে দখল মুক্ত করে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এর আগে বনানীর ২৭ নম্বর রোডে ১১০ নম্বর বাড়িতে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান শরীফ ও মো. সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। ওই বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়। ডিএনসিসির এই উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আসেন মোনায়েম খানের ছেলে মো. কামারুজ্জামান খান।

গত ৭ নভেম্বর হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা থাকা সত্ত্বেও মোনায়েম খানের বাড়ি (বনানীর ২৭ নম্বর রোডে ১১০ নম্বর বাড়ি) কেন উচ্ছেদ করা হলো তার ব্যাখা জানতে চায় হাইকোর্ট। সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কাছে এ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে সাত দিনের জন্য সকল উচ্ছেদ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে নির্দেশ দেন আদালত। ডিএনসিসি ব্যাখ্যার ওপর আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, বনানীর ব্লক-এ ১১০ নম্বরের পাঁচ বিঘার ১৫ ছটাক প্লটটি তৎকালীন ডিআইটি হতে ১৯৬৬ সালে বরাদ্দপ্রাপ্ত হয়ে ১৯৬৭ সালে লিজ দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করা হয়। ২০০৯ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন তাদের জায়গা দাবি করে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট স্থিতাবস্থা জারি করেন।

ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ১৬, ২০১৬।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.