যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন

অক্টোবর ২৪, ২০১৬

cabinetঢাকা জার্নাল: খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের জন্য মাসিক ভাতা ২৫ থেকে ১৫৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ ভাতা দেওয়া হবে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের পর সচিব জানান, ‘খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বিতরণ নীতিমালা-২০১৬’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের ভাতা বাড়ানো হয়েছে।

শফিউল আলম বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ সাতজনের পরিবারকে বর্তমানে ভাতা দেওয়া হয় ১২ হাজার টাকা। যা ১৫০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। একইভাবে বীর উত্তমদের ভাতা ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার, বীর বিক্রমদের ভাতা ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা এবং বীর প্রতীকদের ভাতা ৬ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে ওই শ্রেণীতে ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

আহত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভাতা বাড়ানো হয়েছে। এ ক্যাটাগরির ২০ জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার বর্তমান ভাতা ৩৪ হাজার টাকা থেকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৪৫ হাজার টাকা, বি শ্রেণীর ১৪৬ জনের জন্য ২৮ হাজার টাকা ভাতা ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা, সি শ্রেণীর ২ হাজার ৩২৯ জনের জন্য ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভাতা বাড়িয়ে ১৬ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং ডি শ্রেণীর ২ হাজার ৫৩২ জনের জন্য ১৫৮ শতাংশ ভাতা বাড়িয়ে ৯ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়।

এছাড়া আড়াই হাজার শহীদ পরিবারের জন্য শতভাগ ভাতা বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা, ৩০৩টি মৃত যুদ্ধাহত পরিবারের ভাতা ৬৭ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা, সাত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের ভাতা ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২৮ হাজার টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়।

খসড়া নীতিমালায় বলা হয়, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা মারা গেলে তাদের মা–বাবা, স্বামী–স্ত্রী বা ছেলে–মেয়ে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধার জন্য নির্ধারিত সম্মানী পাবেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ নীতিমালায় ৮ হাজার ৫১৪ জন অন্তর্ভুক্ত হবেন, যাদের মধ্যে খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্য রয়েছেন।

ঢাকা জার্নাল, অক্টোবর ২৪, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.