বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন

এপ্রিল ৭, ২০১৩

Pg-nadia-badal-sm20130406151145ঢাকা জার্নাল: হেফাজতের কর্মীদের হামলার পর একুশে টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার নাদিয়া শারমিনকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের ৩১২ কেবিনে তার চিকিৎসা চলছে। ইতোমধ্যে তার মাথায় সিটিস্ক্যান এবং এক্সরে সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার রাত ৮টা ৩০মিনিটের দিকে তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) থেকে চিকিৎসা শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আহত নাদিয়া শারমিন জানান, তার মাথার ও শরীরের বিভিন্নস্থান কেটে গেছে। তাকে কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

শনিবার বিকেল ৩টা ৩০মিনিটের দিকে পুরানা পল্টন মোড়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন নাদিয়া। হঠা‍ৎ হেফাজতে ইসলামের একজন কর্মী এসে তাকে ধমকের স্বরে বলেন, “পুরুষদের মধ্যে কেন এসেছেন।”

525269_492209374169430_1649370340_n

উত্তরে নাদিয়া বলেন, আমি একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে এখানে এসেছি। একথা বলতে না বলতেই হেফাজত কর্মী তাকে পেটাতে শুরু করে। পরবর্তীতে আরো ১০ থেকে ১২জন হেফাজতে ইসলামের কর্মী এসে তাকে পেটাতে থাকে। পুরানা পল্টন থেকে দিগন্ত টেলিভিশনের কার্যালয় পর্যন্ত মধ্যবর্তীস্থানে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা তাকে ৫ থেকে ৬ বার মাটিতে ফেলে দেয় এবং বেধড়ক পেটায়। 

পরবর্তীতে নাদিয়া উঠে বিজয়নগরের দিকে চলে যান। একপর্যায়ে ৫০ থেকে ৬০ জন কর্মী তাকে আবার মারধর শুরু করে। এ সময় তিনি আশপাশের লোকজনের কাছে সাহায্য চাইলে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে তিনি সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে তার সহকর্মীরা সাহায্যের জন্য ছুটে আসেন। গণমাধ্যম কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।644417_559260180774672_81030600_n
কিছুক্ষণ পর হাসপাতালে তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনসহ একুশে টেলিভিশন সহকর্মীরা উপস্থিত হন।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য আ আ ম স আরোফিন সিদ্দিকি তাকে দেখতে যান। এছাড়া ঢাবির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও তাকে দেখতে যান।

ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ০৭, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.