ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীর

অক্টোবর ৬, ২০১৬

2012-08-16-10-43-46-502ccee24993e-law--kamrulঢাকা: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এবং আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য আব্দুল খালেককে আটক করে দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যডভোকেট কামরুল ইসলাম।

দরিদ্রদের মাঝে দশ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যান ও সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) এ নির্দেশনা দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে নির্দেশনার বিষয়টি জানান খাদ্যমন্ত্রী নিজেই। পাশাপাশি দেশের সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চাল বিতরণ মনিটরিং করারও নির্দেশনা দেন তিনি।

এদিকে মন্ত্রীর এ নির্দেশের পর বিকেলে ইউপি সদস্য আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি যে দলেরই হোক না কেন, চাল বিতরণে অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হতদরিদ্রদের আপদকালে কমমূল্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য ১০ টাকা কেজি দরে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের চিলমারী থানাহাট এ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘হত দরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির’ উদ্বোধন করেন। এরপর হত দরিদ্রদের কার্ড নিবন্ধন শুরু করা হয়।

এই নিবন্ধনে পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের নাশকতা মামলার আসামি ধনাঢ্য জামায়াত নেতা মালেকের স্ত্রী সখিনা বেগমের নাম আসে।

অভিযোগ ওঠে জামায়াত নেতার স্ত্রীর নামের ওই কার্ডের তালিকায় নাম দেন আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি মেম্বার আব্দুল খালেক। তিনি ওই কার্ড সরবরাহও করেন।

পাপাঁচবিবি উপজেলার সব ইউনিয়ন সদস্যদের দেওয়া ৩৯২ জনের নামের তালিকা আওলাই ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক পর্যবেক্ষণ করে পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠান। এই তালিকায় জামায়াত নেতার স্ত্রীর নাম ছাড়াও ভারাহুত গ্রামের মৃত শাহাজাহানের স্ত্রী রুমা আক্তারের নামেও কার্ড ইস্যু করা হয়, যদিও শাহজাহানের কোনো স্ত্রী নেই।

এসব অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।

গত বুধবার (০৫ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চাল বিতরণের তালিকায় কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিলারদের ডিলারশিপ বাতিল এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এই স্লোগানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরে সাড়ে সাত লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে। প্রত্যেক উপজেলায় হতদরিদ্র পরিবারের সংখ্যা ঠিক করে ওই পরিবারকে কার্ড দেওয়া হবে। প্রাধান্য দেওয়া হবে নারী, বিধবা, প্রতিবন্ধী এবং নারী প্রধান পরিবারকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৬

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.