নির্বাচন করতে হলে পদত্যাগ করতে হবে জেলা পরিষদ প্রশাসকদের

অক্টোবর ৩, ২০১৬

pmঢাকা জার্নাল: জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে পরিষদের  প্রশাসকদের পদত্যাগ করার বিধান যোগ করে আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রীসভা।

একইসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৬ আইন আকারে জারির প্রস্তাবও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে জেলা পরিষদ অধ্যাদেশে অর্থ্যাৎ ৬ এর চ-উপধারায় একটু পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেখানে লেখা আছে (কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবার যোগ্য হবেন না, যদি-) তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা সদস্য হন। এর সঙ্গে এখন নতুন করে জেলা পরিষদের প্রশাসক যুক্ত হয়েছে।

‘এর সঙ্গে নতুন একটি বাক্যও যুক্ত করা হয়েছে- নিয়োগকৃত জেলা পরিষদের প্রশাসক পদত্যাগ সাপেক্ষে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন।’

‘এছাড়া ২০ এর ২ উপধারায় ‘ছ’ দফাতে নতুন সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে। সেখানে লেখা ছিল- ভোট গ্রহণের তালিকা, সময় ও স্থান। আসলে হবে ভোট গ্রহণের তারিখ, সময় ও স্থান। তালিকা সংশোধন করে তারিখ করা হয়েছে’।

তিনি আরো বলেন, ‘ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র গৃহীত হলে অথবা জনস্বার্থ পরিপন্থী কোনো কাজ করলে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে সরকার।’

কবে জেলা পরিষদ নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে  কোন আলোচনা হয়েছে কিনা- এ প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোন আলোচনা হয়নি।

প্রসঙ্গত, ফৌজদারি মামলায় আদালতে গৃহিত অভিযোগপত্রে নাম এলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা এবং চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সরকার মনোনীত কোনো ব্যক্তিকে ওই দায়িত্ব দেওয়ার সুযোগ রেখে গত ২৯ অগাস্ট জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

সংসদ অধিবেশন না থাকায় তখন এটি অধ্যাদেশ আকারে জারির প্রস্তাবও অনুমোদন দেয় দেশের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম। পরে ৫ সেপ্টেম্বর অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

তবে জেলা পরিষদের বর্তমান মনোনীত প্রশাসকরা কীভাবে পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেবেন, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ওই অধ্যাদেশে ছিল না। যে কারণে মন্ত্রী সভায় এই সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা কমিয়ে আইন সংশোধন করে গত আগস্টে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করেছিল সরকার। ওই অধ্যাদেশ কোনো পরিবর্তন ছাড়াই আইন হিসেবে পাসের জন্য সংসদে উত্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

গত ১ আগস্ট মন্ত্রিসভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন ২০১৬ -এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ৯ আগস্ট এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

ঢাকা জার্নাল, অক্টবর ০৩, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.