সৈয়দ হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৬

samsul2ঢাকা জার্নাল: তেজগাঁও চ্যানেল আই’র প্রাঙ্গণে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ১৫মিনিটে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার নামাজে জানাজা পরিচালনা করেন চ্যানেল আই মসজিদের ইমাম মওলানা শাহজাহান।

এর আগে গুটিগুটি বৃষ্টির মধ্যে সকাল ১০টা ১০মিনিটে সৈয়দ হকের মরদেহ ইউনাউটেড হাসপাতালের হিমঘর থেকে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়।

প্রথম নামাজে জানাজায় অংশ গ্রহণ করেন, সৈয়দ শামসুল হকের ছেলে সৈয়দ হক, নায়ক রাজ রাজ্জাক, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, নাট্যশিল্পী শহিদুজ্জামান সাচ্চু, কবি আসাদ চৌধুরী, নাট্য ব্যক্তিত্ব আবুল হায়াত, নায়ক রাজ্জাকের ছোট ছেলে সম্রাট, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী প্রমুখ।

সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ থেকে সৈয়দ শামসুল হকের মরদেহ বাংলা একাডেমিতে উদ্দেশে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তার মরদেহ বাংলা একাডেমির পথে রয়েছে। সেখান থেকে বরেণ্য এ সাহিত্যিকের মরদেহ সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সৈয়দ হকের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন।

এরপর দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে নেওয়া হবে। সেখানে কুড়িগ্রাম কলেজের পাশেই সব্যসাচী এ লেখককে দাফন করা হবে।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার পর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সবচেয়ে কম বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক।

১৯৩৫ সালে কুড়িগ্রামে জন্ম নেওয়া সৈয়দ হককে কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প তথা সাহিত্যের সব শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য ‘সব্যসাচী লেখক’ বলা হয়। তিনি পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার।

ঢাকা জার্নাল, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.